আর কত সইবো অত্যাচার, পুতুল হতে চশমা অবধি সয়েছি,
জীর্ণ কঙ্কালসার দেহটুকু দেয়ালে ঠেকেছে,
নিথর অক্ষিতে অশ্রু শূন্যতা
আর কত সইবো যাতনা?
দুঃষহ যাতনায় দগ্ধিত উদ্যম যৌবন নদী,
শুকিয়ে শুকিয়ে জমেছে দুস্তর বালিচর,
শোষণে পেষণে দুর্দান্ত অস্থিমজ্জা আজ বিকল
কে ছিঁড়বে এ শিকল?
পলাশী থেকে একাত্তুর বহু দহন যাতনা সয়েছি,
কত শোষণের নাগপাশ কাটিয়ে এনেছি স্বপ্নেরস্বাধীনতা
এনেছি মুক্তির পতাকা,
তবু কেন বিষাদে পূর্ণ এ স্বাধীনতা?
লোহিত রং এ সিগন্যাল দিয়েছি অত্যাচারী চির স্তব্ধ,
সবুজে সে তো চির উন্নত শিরে চলা
তবে ওরা কারা?
যারা লোহিতকে সবুজ বানিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে নির্মম অত্যাচার?
ওরা ঘরের শত্রু,
ওরা রক্তের দামে কেনা এ স্বাধীনতাকে কুরে কুরে খাচ্ছে ঘূণ পোকার মতন,
একদিন হয়ত ধসে দিবে এ
স্বপ্নের স্বাধীনতা!
কে বাঁচাবে এ দেশ এ পতাকা?
মোরা রক্ত দিয়ে এনেছি স্বপ্নের এ মহান স্বাধীনতা,
ওরা অত্যাচার জুলুম দুর্নীতির মন্ত্রে,
গ্রাস করে যাচ্ছে তা।
আর কত সইবো নিপীড়ন বিষম ব্যথা?
আজ কোথায় ওরা?
ন্যায়ের তরে লড়ে লড়ে রক্তস্নাত বাংলার আকাশে অস্তমিত
একুশ কিবা ডিসেম্বরের সূর্য
সন্তানেরা?
আজ কোথায় সেই প্রকৃত নেতার আদর্শ?
মানবো না কভু হার সইবো না ক আর এ অতাচার,
ওহে আবালবৃদ্ধবণিতা জেঁগে ওঠো,
বাংলা মা আজও বন্ধ্যা হয়ে যায়নি।
উদর হতে জন্ম লয়েছে আজো অজস্র বীর সৈনিক,
যারা ন্যায়ের তরে অকাতরে দিতে পারে প্রাণ।
স্বাধীন দেশে পদে পদে আর,
সইব না ক অপমান,
নিপীড়িত জীর্ণ কন্ঠে তবুও গেয়ে যাই তাদের জেঁগে ওঠার,
চির উদ্যামী গান।।
যবণিকা।
রচনাকালঃ১৪/১২/২০১৪ ইং
হলুদিয়া,
মধুপুর,টাংগাইল।।