আমি কারও অন্ডকোষ থেঁতলে দিতে শিখিনি বলে,
ধর্ষিতা হই বারেবারে
আমি প্রতিবাদের ভাষা শিখিনি বলে
ওদের শিশ্নজল আমার নিতম্ব বেয়ে ঝরে যায় প্রতিরাত্রে,
আমি প্রস্ফুটিত ফুলে নীরবে নিভৃতে পোষি বিষাক্ত বিষকাঁটা।
আমি কার কাছে চাইবো, এ নৃশংসতার বিচার ?
আমি কার বুকে লিখব আমার বেঁচে থাকার বীভৎস ইতিহাস -
এ সমাজ,
না রাষ্ট্র ,
নাকি এ বিক্ষোব্ধ জনতার বুকে ?
নাকি ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইল জুড়ে মাটির বুক চিড়ে চিড়ে ?
এ সমাজ কখনো শুনেনা আমার আত্মচিৎকার,
এ রাষ্ট্র কখনো দেখে না আমার বীভৎসতা।
আমি স্বগৃহে পরবাস থাকি
বুকের মাঝে ঘৃণা অবজ্ঞার আত্মোস্ফোরণ চেপে রাখি।
আমি ধর্ষিতা হয়েছি পিতার কাছে
আমি ধর্ষিতা হয়েছি শিক্ষককের কাছে,
আমি ধর্ষিতা হয়েছি
বাসে
ট্রাকে
ট্রেনে
স্টেশনে
ফুটপাতে।
আমি কার বুকে মাথা রেখে ঘৃণার অশ্রুধারা মুছবো?
আমি কোথায় খুঁজবো আমার হারানো সেই পতাকা
আমি কোথায় খুঁজবো আমার স্বাধীনতা-
এ মানচিত্র যেন আমার পরবাস,
এ স্বাধীনতা যেন আমার সর্বনাশ,
এখানে এখনো -
রক্তের নোনতা স্বাদ আর কুমারীত্বের গন্ধ শুকে শুকে,
প্রতিরাত্রে নেমে আসে একদল আগ্রাসী শকুন।
নগ্নতার বীভৎস উন্মদনায় মেতে উঠে লাল সবুজের পতাকায়,
যেখানে মিশে আজও মিশে আছে খরস্রোতা এক রক্তনদী,
মিশে আছে ভয়াল কালোরাতের দুর্বিষহ ইতিহাস,
মিশে আছে সম্ভ্রম,
মিশে আহাজারি,
মিশে ত্যাগ তিতিক্ষা আবেগ অনুভূতি ভালোবাসা।
সেই পবিত্র রক্তের স্রোত ধুয়ে মুছে দিতে পারেনি আজও
কলুষিত বিকৃত জৈবিকতা,
তাই আজ পিতৃলয়ে অরক্ষিত দ্বাদশী আমি।
এ সমাজ আমায় শুধুই ঘৃণা করতে শিখেছে,
শুধুই অপবাদ দিতে শিখেছে,
শুধুই নিন্দার কাঁটায় ক্ষত বিক্ষত করতে শিখেছে।
আমি বলি ওরাই আমার ধর্ষক,
আমি বলি এ রাষ্ট্র আমার ধর্ষক,
আমি বলি এ ক্ষমতার অপ্রপ্রয়োগ আমার ধর্ষক
আমি বলি, নেতাদের পা চাটা এ র্নিবিষ প্রশাসনই আমার ধর্ষক।
আমি কার কাছে চাইবো ধর্ষণের বিচার?
যেখানে সুপ্রিমকোর্টের দরজা জানালা গ্রিল, প্রতিদিনই ভরে উঠে ধর্ষকের বীর্যে।
-