একুশ তুমি,
দুরন্ত দামাল কিশোরের,
টগবগে রক্তে রাজপথ রাঙানো,
অন্তহীন স্রোতধারা ।
একুশ তুমি
বাংলা মায়ের মধুর বাণী,
বাঙালির বুকে,
অনন্ত চেতনার মহড়া ।
একুশ তুমি,
শোষণের পিঞ্জর দুমড়ে মুচকে
উড়ে চলা, মুক্ত বিহঙ্গের তান।
একুশ তুমি,
রাজপথ কাঁপানো ন্যায় আর সত্যে,
দুঃসাহসীক অভিযান।
একুশ তুমি,
শোষণ পেষণের মহাসমুদ্রে,
প্রচন্ড বিক্ষুব্ধতায় বিস্ফোরিত
আগ্নেয়গিরি।
একুশ তুমি,
ন্যায়ের পথে ঝাঁঝালো মিছিলে,
চেতনার ছড়াছড়ি ।
একুশ তুমি,
দুূর্গম পথে অশান্ত হৃদে,
দুঃসাহসের অনশন।
একুশ তুমি,
অদম্য শক্তিতে ভরপুর,
সূৃর্য হতে বিচ্যূত অগ্নিবর্ষণ ।
একুশ তুমি,
নবজাগরণের অগ্রসৈনিক,
মুক্তির নেশায় আত্মহারা,
বাঁধ ভাঙা স্রোতধারা ।
একুশ তুমি,
ছেলেহারা শত মায়ের
ক্রন্দন রোলে থমকে যাওয়া ধরা ।
একুশ তুমি,
" রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই"
স্লোগান মুখর ঝাঁঝালো মিছিল,
বিদ্রোহী গান।
একুশ তুমি,
বুলেটের মুখে বিদীর্ণ,
রফিক,শফিক, শফিউর সহ,
অগণিত সূর্য প্রাণ।
একুশ তুমি,
অন্যায়ের তপ্তবালি পদে দলে,
ছুটে চলা যৌবনদীপ্ত বাঙালি
যুবকের তেজদীপ্ত অশ্ব ।
একুশ তুমি,
মহান স্বাধীনতার বীজ বপনকারী,
তব তেজস্ক্রীয় আত্মদানে,
প্রকম্পিত বিশ্ব।
একুশ তুমি,
বাউলের কণ্ঠে সুললিত,
বাংলা ভাষার গান।
একুশ তুমি,
হাওয়ায় হাওয়ায় দোলানো,
মাঠের সোনালী ধান।
একুশ তুমি,
চির বসন্ত, চির জাগ্রত,
চির উন্নত তোমার শির ।
একুশ তুমি,
চির অম্লান, ন্যায়ের রণে
চির উদ্ধত তোমার শমসের ।
একুশ তুমি,
অকোতভয় তারুণ্যে মহীয়ান,
দুর্দমনীয় শক্তিতে বলীয়ান,
আমার কাব্যের ভাষা।
একুশ তুমি,
বিষাদের দুস্তর পারাবার লঙ্গিয়ে,
বিজয়ের উল্লাসে কেঁড়ে আনা,
মহান মাতৃভাষা।
-----------
রচনাকালঃ২১ /০২/২০১৩ ইং