একসাথে পার করা সময়!
আনন্দময় দিন।
মেঠোপথে হেটে যাওয়া,
হাটতে হাটতে সকাল বিকেল পার করা কিছু স্মৃতি!
আরও কতো কি।

রাতের পর রাত জেগে কথা বলা,
কথার মাঝে ফিক করে হেসে ফেলা।
হাসতে হাসতে চোখ থেকে গরিয়ে পরা আনন্দ অশ্রু,
সবই এখন দুস্প্রাপ্য।

আমাদের হেটে যাওয়া সেই মেঠোপথ।
সেই পথের মাটি,
মাটিতে জন্মানো ঘাস,
ঘাস খেতে আসা লাল রঙের সেই গরু!
সবাই আজও আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে।
আমাদের পদধূলি না পেয়ে তারা রোজ কাদে।
পথের মাটিগুলো আজও আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে।

যেই বেঞ্চিতে বসে আমরা গল্প করতাম,
সেই বেঞ্চিটাও আমাদের খুনসুটি গুলো মনে করে আফসোস করছে।
সেই গ্রাম, গ্রামের মেঠোপথ,
পথের ঘাস, কাঠের বেঞ্চি!
তারা সবাই আমাদের খুনসুটি দেখার আশায় পথ চেয়ে আছে।
তারা ভাবছে আমরা তাদের ভুলে নতুন জায়গায় ঘুরছি।
আমরা যে একে অপরকে ভুলে আলাদা হয়ে গেছি!
একথা শুনলে তারা ভীষণ কষ্ট পাবে।


রাতের সেই তারাগুলো রাত হলে আজও আমাদের জুটি খুজে বেরায়।
কিন্তু খুজে পায়না।
জ্যোৎস্নার আলো বিভিন্ন ছাদে ছাদে তোমার আর আমার অস্তিত্ব খুজে বেরায়।
মৃদু সুরে বয়ে যাওয়া হাওয়া গুলোও আমাদের স্মৃতি মনে করে কষ্ট পায়।
তারাও প্রানপনে চাচ্ছে আমরা যেনো আবার তাদের দেখা দেই।
রাতের তারাগুলো ন'টা বাজলেই ছাদের দিকে তাকিয়ে থাকে।
আমাদের ফোনে কথা বলতে ছাদে ওঠা মুহুর্ত গুলো দেখার জন্য।

রাত ন'টা বাজলে আমার মোবাইলের সিমকার্ডটি পর্যন্ত তোমার কলের জন্য অপেক্ষা করতে থাকে।
ঘড়ির কাটায় ন'টা দেখলেই আমার হৃদয় আনন্দে কেপে ওঠে।
তোমার সাথে কথা বলার জন্য উৎসুক হয়ে ওঠে সে।
যে মুহুর্তে তোমায় সে ফোনকলে ডাকবে!
ঠিক সেই মুহুর্তে হঠাৎ মনে পরে!
তুমি তো তুমি নেই।
তুমি আজ অন্য কেউ।
তোমার সেই মায়াবতী আত্মা!
সেই কোমল হৃদয়,  
হৃদয়ের সমস্ত প্রেম।
সব আমার স্মৃতির টানে জেগে উঠতে চায়।
কিন্তু তোমার অনিচ্ছার কাছে তারা হার মেনে যায়।
আর জেগে উঠতে পারেনা।
তুমি ঘুমিয়ে গেলে সেই আত্মা রোজ এসে আমার সঙ্গে গল্প করে।
আমার কল্পনায় তার একটা বসতবাড়ী আছে।
সে জানিয়েছে খুব শীঘ্রই সে এই বসতবাড়ীতে চলে আসবে, আজীবনের জন্য।