তুমি কি জানো,
কেন আমি পারিনি চড়তে
হিমালয় শিখরে?
কেন ই বা ঝাঁপিয়ে ডুব ও দেই নি আমি
অতল সাগরে;
মুক্তো ভরা ঝিনুক খুঁজতে।
বিশ হাজার ফুট উঁচু থেকে sky drive!
স্বপ্নেও ভাবি নি আমি।
তুমি ভাবছো মেদবহুল- শিথিল শরীর,
কি করে দৌড়াবে ম্যারাথন?
তুমি কি জানো--
স্কুল থেকে কলেজ, এক সাথে হেঁটেছি কত পথ।
কখনো হাতা-হাতি, কখনো বা সহমত।
তবুও বলতে পারিনি মনের গোপন কথাটা;
গোপনেই রয়ে গেল এতকাল !
তুমি কি জানো, কত বার ভেবেছি-
ঢের হয়েছে! চাকরিটা এবার ছাড়বো।
প্যাশন ই হবে আমার প্রফেশন;
খুলব এক ছোট্ট রেস্টুরেন্ট।
মনের স্বাদে স্বাদে ভরাব সবার মুখ।
কিন্তু, ভাবনা টা ভাবনাই থেকে গেল.....
আসলে আমি ভয় পাই!
ভীষণ, ভীষণ ভয় পাই বলে--
রোমাঞ্চকর কোন অভিযান উপভোগ করাই হল না।
বন্ধু-বিচ্ছেদ ভয়ে বলতে পারিনি "I love you"
আরও একবার নিজেকে প্রমান করার ভয়ে,
Comfort zone থেকে বেরোতেই পারিনি।
অন্য চাকরি খোঁজা তো দুরে থাক।
মুখবুজে সোহেছি অতীত, বর্তমান;
তবুও প্রতিবাদের ভাষা আমার নেই।
জানি না কিসের ভয়ে-
অপকট সত্যি কথাটা বলতে পারিনা।
ইনিয়ে- বিনিয়ে গল্প বানাই,
বা চটজলদি ডিপ্লোমেটিকে কিছু একটা বলি।
তুমি তো জানো,
নব প্রজন্ম আসছে...
নব যুগের নব ভাবনায় ।
আমরা কি দিয়েছি তাদের জায়গা?
আজকের শিশু, কালকে পিতার ভূমিকায়;
তবু কেন ভুগি-অস্তিত্বের আশঙ্কায় !
### আমার বিশেষ বন্ধু এবং সহকর্মী "তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়" (ওরফে তারাদা)এর বিশেষ ভাবনার বহিঃপ্রকাশ। এই কবিতাটি সেই তারদাকে উৎসর্গ করলাম।