এই বিস্তীর্ণ খোলা মাঠের ওপারে একটি বাড়ি আছে
আমরা যার নাম দিয়েছিলাম- সুহাসিনী;
তা তোমার মনে আছে, অরুণিমা?

আমাদের খুব সহজ কিছু আক্ষেপ ছিলো,
ছিলো হৃৎপিন্ড বিদীর্ণ করে দেয়ার মতো কিছু গান।
মানুষ যাকে গন্তব্য বলে তার পুরোটাই ছিলো সুহাসিনী।
সূর্যের লেলিহান আবেশ,
অচেনা কাঁটায় ঘেরা এক ক্রোশ দূরত্ব,
পথের অজস্র বালিয়াড়ি
এই নীল মধ্যরাতের আগমনে তা কি আজ মনে পড়ে?

আমি জানি, এই পৃথিবী জানে-
একসময়ের একফোঁটা দু'ফোঁটা করে জমানো আবেগ
রাত্রি নেমে এলেই খুঁজে নেয় নদীর অবগাহন;
ছুটতে ছুটতে মিশে যায় সাগরে।

তাই আমাদের প্রতিশ্রুত সময়টুকুর বুকে
আজ আমি একাই দাঁড়িয়ে আছি;
দেখছি-
ঘড়ির কাঁটায় ভর করে আমি বেঁচে আছি,
আমার সমস্ত বিতর্কিত নৈঃশব্দ্যে তুমি বেঁচে আছো,
ভাঙা হাড়-পাঁজর নিয়ে বেঁচে আছে সুহাসিনীও।