হিমঘরে যে উপাখ্যান রচিত হয়েছিলো
তা আজ জ্যোৎস্নার আলো-আঁধারিতে বাস্তব।
উত্তরী হাওয়ায় চেপে হয়তো কারও আঁচল ভেসে আসে।
তবুও গহ্বর ভুলে গিয়ে সেখানে বসে থাকে
এক চিলতে নিরেট অভিমান।
সে আঁচল শুধু আকাশ ঢেকে দেয়,
অরণ্যের মতো মাটিতে ছাঁয়া হয়ে নেমে আসে।
অথচ সে ছাঁয়ায় নিজেকে নিজে হত্যা করেছি
যুগের ওপার থেকে এই মধ্যরাত পর্যন্ত।
যার জন্য পৃথিবীর কেউ দায়ী নয়।
শুধু মনে হয়, হয়তো স্বর্গেও কিছুটা আঁধারের বড় প্রয়োজন।
তারপর একদিন ভ্রান্তি কেটে গেলে দেখি সময় চলে গেছে ঢের;
তবুও আঁধার ফুরোয়নি!
দেখি, ভেজা মাঠে স্তুপ স্তুপ পড়ে আছে স্বপ্ন ও জ্যোৎস্নার মৃতদেহ।
কিন্তু আজ মনে হচ্ছে, এখানে শুধু একটা হিমঘরের খুব প্রয়োজন।
যেখানে কারও হাতে আর কোনোদিন কলম থাকবেনা।