হে প্রবীণ-
তোমার করতলে আকুতির শিখা জ্বেলে দিলাম;
উত্তর দিয়ে তবেই তোমার ঘরে ফেরা।
প্রবল ঝড়ের রাতে কিভাবে অরণ্যের অন্ধকার পাড়ি দিয়েছো?
কিভাবে পৃথিবীর কোলাহলের মাঝেও মৌনতা খুঁজে নিয়েছো;
ব্যর্থতা আর তৃষ্ণার মাঝেও নিভে যাওয়া প্রদ্বীপ জ্বালিয়েছো কেমন করে?
কেমন করে দূরের একা দ্বীপের মাঝে নিজেকে পাহাড় বানিয়েছো, অবলীলায় দিগন্ত ছুঁয়েছো?
উত্তর তোমার দিতেই হবে, উত্তর দাও।
আমিও উত্তপ্ত দুপুর দেখেছি, শুনেছি উদ্ধত তরবারির ঝংকার।
মরুর ঝড়ের মাঝেও হেঁটে চলেছি অজানা পথে।
তবু কিভাবে তোমরাই ভালো ছিলে?
আমিও হিংস্র বাঘের মতো থাবা মেরে হত্যা করেছি অসহায় হরিণ শাবক।
প্রেয়শীর হৃদয়ে হাত রেখে আমিও অনুভব করেছি রক্তের উষ্ণতা।
তবু কিভাবে তোমরাই সুখী ছিলে?
একই আকাশ, একই পৃথিবী।
সূর্য, চাঁদ, তারা, সাগর, নদী সব একই।
তবু তোমাদেরই কেনো আনন্দ ছিলো বেশী?
আচ্ছা থাক, সব থাক।
বিদায় বেলায় শুধু শেষ একটা উত্তর দিয়ে যাও হে প্রবীণ-
তোমরা কিভাবে বেঁচে ছিলে?