নিজে জয়ী হওয়ার বদলে-
তোমাকেই অপরাজিতা বানাতে চেয়েছি সেদিন।
নৈঃশব্দ্যের সব প্রার্থনা বিলিয়ে দিয়েছি
হেমন্তের কুয়াশার বিবর্ণ সুদূরে।
চাঁদের কাছে চেয়েছি বিজয়িনীর সুুখাশ্রু;
খানিকটা চেয়েছি অমাবস্যার কাছেও।
চেয়েছি সমুদ্রের কাছে; কোমল পেঙ্গুইনের কাছে;
উড়ে যাওয়া শুভ্র গাংচিলের কাছেও চেয়েছি খুব।
তারপর একদিন মেঘের কাছে গিয়ে বলেছি
সে যেনো তোমাকে ভাসিয়ে নিয়ে যায়
নিষিক্ত মাধুর্যের দিকে; স্বপ্নের অভয়ারণ্যে।
যেখানে আছে ভিন্ন কক্ষপথ;
আছে আলোকিত আত্মার নির্মল সান্নিধ্য।
সময়ের পরিক্রমায় তারপর কেটে গ্যাছে
আমাদের অনতিক্রম্য দশটি বছর;
প্রবাহমান অন্বয়ে বেড়ে গ্যাছে দূরত্ব।
আমরা করতলে অর্পণ করছি
আমাদের নিজস্ব জীবন যাপন।
কিন্তু, আজ হঠাৎ আয়নায় চোখ রাখতে গিয়ে-
দেখি তাঁরা সকলেই আমার কথা রেখেছে
তোমাকে সিংহাসন সাজিয়ে দিয়েছে;
মাথায় তুলে দিয়েছে বিজয়িনীর হীরকমুকুট।