তোমার নখভর্তি স্ফুলিঙ্গে পুড়ে গিয়ে
আমি কতোটা বিলীন হয়ে গ্যাছি-
তুমি দেখে যাও, অরুণিমা!
যাপিত নাগরিক আঁধারের কাছেও
আমার খানিক কিছু চাওয়ার ছিলো।
হয়তো আসন্ন পূর্ণদুপুরে ঘাসফড়িং হ'য়ে
উড়ে যাওয়া; শস্যাদির মোহঘোরে।
নাহয় ডানা গুটিয়ে আলপথ ধরে
হেঁটে যাওয়া তুখোড় অভিনয়ে।
কৃষ্ণকায় মানুষের সংসর্গ ছেড়ে
যেই তুমি হাত রেখেছো
কোনো প্রোজ্জ্বল কালপুরুষের হাতে
সেই তুমিই একদিন এখানে সৃষ্টি করেছিলে
মুগ্ধতার চিরন্তন রেশ!
সেই থেকে আমিও আলোহীন সিল্যুয়েট হ'য়ে
ঝুলে আছি সরলদোলকের মতন;
অনেক গোধূলীবেলায়;
নিশ্চেতন সূর্যের বিপরীতে।
কালের প্রৌঢ়ত্ব স্বীকারের আস্ফালনে
আমি কীরকম মেনে নিয়েছি
মধ্যরাতের সমুদয় তীর্যক উপহাস
তা তুমি দেখে যাও, অরুণিমা!