কুয়াশা , চারিপাশ  ঘিরে,
আবছা আলো আঁধারিতে গুমোট অস্পষ্টতা
শীতল হিম বায়ের পারাবারে
রহস্যময় অন্তহীনতা
অচেনা প্রান্তর পানে
অগোচরা সন্তরণে
আমি অসহায়,
হায়!
দৃষ্টি সম্পাতি ঐ অজানার পানে
অজানা অচেনা এক শুভ্রতার আভায় ,
নিয়ত আহবানে ডাকছে আমায়
ওপারের আহবান ক্রমশ স্ফুটতর  ।
কিন্তু আমার ভয় হয়  ।
কিভাবে জমাবো পাড়ি ?
ঐ যে সব অস্পষ্টতা?
ওপারের প্রান্তর অচেনা আমার,
কী আছে সেখানে?
নিয়ত আমায় কাছে টানে,
সন্ত্রস্ততায় আবেশিত তানে।
তবু আমি হাঁটছি , থামতে পারি না,
এ কেমন নিঃস্পৃহ গমন  !
আলোকের এত আয়োজন
ছেড়ে ,
কেন এই সফেদ  অন্ধকারের আহবান ?
চঞ্চলা নিসর্গে আজ
কেন এমন গুমোট বিমুখতা  ।
আমি কোথায়?
এই কোন প্রান্তরে দাঁড়িয়ে?
চিরচেনা অথচ অজানা
এই কোন প্রতিবেশ আমায়  আচ্ছন্নতায়  ঘিরে  ?

উপেক্ষিত অপেক্ষার  অবসাদ অবসানে,
আমায় যেতে হবে,
কুয়াশার অন্তরাল পেরিয়ে
ঐ সুদূর অচেনা প্রান্তরে ।
নিস্তব্ধ আমি ,
যাওয়ার তো নেই কোন প্রস্তুতি ।
তবুও যেতে হবে ,

ব্যস্ততার মনভোলানো পরিসরে,
ভুলেছি কুয়াশার আসন্ন আগ্রাসন,
ক্ষণিক কোলাহলে
আমার যাত্রা ভুলে,
কেবলই আছি মজে,
এপারের আলোকময় ছলে,
ওপারের পথ অস্পষ্টতায় ফেলে ,
আমি অসহায় আজ,
নিয়তর নিষ্ঠুর পরিবেষ্টনে,
আমার গন্তব্যপানে,
দেখছি শুধুই অস্পষ্টতা ।
দুর্ভেদ্য দুর্বোধ্যতা  ।
রহস্যময় সফেদ অন্ধকার।