সাহসিকতার ১৭ এপ্রিল, ১৯৭১। বাঙালীর অস্তিত্বের অংকুরোদগম।
বায়ান্নোতে বপিত স্বাধীনতার স্বপ্নের বীজ-
নানান রঙের মাটি চাঁপায় লুকায়িত ছিলো!
১৭ এপ্রিলেই বাঙালীর সে সুপ্ত মনের বাসনা: নতুন উদয়- নতুন উদ্যম।
স্বপ্ন আবহমান মনের গহীনে-
স্বাধীনতার স্বপ্নতো আরও বড় স্থান দখল করে পরাধীন সব মনে!
স্বপ্নের বাস্তব রূপায়ন –
তীক্ষ্ণ বুদ্ধিমত্তার,
সাহসিকতার,
নেতৃত্বের,
ঐক্যের- প্রতিফলনের সমানুপাতিক চয়ন ।
সবকিছু ঠিকঠাক মিলে গেলো যেন সেদিন-
মুজিবনগরের আম্রকাননের সবুজ চত্তরে-
সংসদ হলো - প্রাণের শপথে-
স্বাধীনতার সূর্য হলো পূর্ব দিগন্তে উড্ডীন ।
বিশ্ব জানলো - রাষ্ট্রের উপাদানগুলো নিশ্চিত করতে আমরাও পারি!
স্বাধীনতার জন্য, সার্বভৌমত্বের জন্য –
স্বাধীনচেতা জনগন নিয়ে, জন্মভুমি মুক্তির জন্য, সরকার গঠন করে -
বাধা-বিঘ্ন ডিঙিয়ে দুর্গম পথ পদতলে যাই মারি ।
তারপর, পরিকল্পিত এগিয়ে চলা –
মুক্তির সংগ্রাম, স্বীকৃতি আদায়ে যুগপথ চলা –
চলা জোর কদমে, কদমে-
মৃত্যু পরোয়াহীন বাঙালীর স্বাধীনতার স্বপ্ন চরমে !
মুক্তিযুদ্ধ এবং সাহসিকতার এপ্রিলের যুগপথ প্রেরণার-
লাল-সবুজ ঝান্ডা ধরে,
বিজয় এলো, স্বাধীনতা এলো, স্বপ্ন পুরণ হলো –
১৬ই ডিসেম্বরে, একাত্তরে ।