কবিতায় শোক করে কী হবে?
কী সংগ্রামী জীবন! দুঃখ জীবনভর।
ভালোইতো ছিলেন একাত্তরের আগ পর্যন্ত-
ছিলো সুখ, সংসার, ঘর।
দেশকে ভালোবেসে-
প্রবেশ দুঃখের দেশে,
মুক্তির সংগ্রামে শরিক হতে গিয়ে-
কষ্টের জীবনে পাঃ
সে পায়ে আর জুতো পরা হয়ে ওঠেনি!
'বিষাদ জননী' হয়ে-
সংগ্রাম করে, কষ্ট সয়ে,
চলেছে জীবন কাহিনী...
এসব দেখিনি-
আমরা?
আমাদের অগ্রজেরা?
আমাদের সমাজপতিরা?
আমাদের বিত্ত্ববানেরা?
আমাদের রাজনীতিবিদেরা?
জানি, মুখ বাঁকিয়ে বলে দিবেন-
কারো অনুগ্রহ, দান গ্রহণ করেন নাই তিনি!
এমন মহান ব্যক্তিত্বের এমন আচরণ স্বাভাবিক।
তিনি আমাদের 'বিবেক কোমা' ভাঙাতে চেয়েছেন!
অনুগ্রহ কেন! তিনি অনেক কিছু পাবার যোগ্য ছিলেন।
প্রশ্নঃ তার কতোটুকু দিলেন?
আজ শোক!
যারা তাকে সম্মান যথাযথ দেখাননি, শ্রদ্ধা জানায়নি, খোঁজ রাখেনি-
তারাও শোকাহত!!!
আমার ক্ষোভ হয়,
দুঃখ হয়,
গুনীজনদের জীবদ্দশায় সম্মানিত না করে-
আর কতো করবো আমরা অভিনয়!
রমা চৌধুরীর প্রয়াণে আমার বানীঃ
"বিবেক জাগ্রত হোক! - এই ভাবনায়,
গুনীজন সম্মানিত হোক জীবদ্দশায়।"
---------------
উৎসর্গঃ শ্রদ্ধেয় রমা চৌধুরী ।