কাইল গ্যারামে যাত্রাগান অইব
ভিনদেশতন দল আইব
সেরাজদৌলা , রহিম রুপবান
আরো কত পাঠ অইব
জানস? জিেঞ্জস করে
রাম শেফালী কে ।
শেফালী মাথা নাড়িয়ে বলে-
হু! তো মোর কপালে কি আর দেহন অইব, আমরা মেয়া !
বাবা কইছে- মসজিদের হুজুরে নাকি
নিষুধ করছে আর কইছে যাত্রা দেহন হারাম
গুনাহ হয় ।
তুই যা কস্ শেফু
মুই যামু, এই বয়সে যদি
একটু যাত্রা পাত্রা না দেখি
আর দেখমু কবে !
তুই যাবি মোর লগে?
কেমনে !
তুই কাইল রাইত রানধনের ঘরে থাহিছ
মুই আইয়া শিস্ দিমু
তুই লগলগ চইললা আইস
টাহা পাবি কই রাম?
মুই মাতবরের ধান কাটছি
হে মোরে বিশ টাহা দেছে
তা নিয়া তুই আর আমি যামু ।
খুশি হয় শেফালী
দারুণ খুশি
দুইজনে পরের দিন যাত্রা দেখতে যায় ।
বাদাম খাবি শেফু?
দুই টাহার বাদাম দে...
দুজনে বাদাম খাচ্ছিল
এমন সময় মাতবর দেখে ফেলে
শেফূ...তুই?
কারলগে আইছস্ ?
রামদার লগে ।
পরদিন বিচার বসে বাজারে
শেফু, শেফুর বাপ, রাম, রামের বাপ
সবাই আসে ।
এই শোন- শেফুরে ১০০ দোরা মার
মাতবর বলে । মেয়া হইয়া
মালাউনগো লগে ছি: ছি:
রামেরে বস্তায় ঢুকাইয়া পারা ।
রাতে শেফালীর জ্বর আসে
দিন তিনেক পরে মারা যায় ।
আর রাম
তাকে গেরামে পাওয়া যাচ্ছে না
হায় প্রীতি
হায় বিচারের রীতি
এই শেফু নামের গোলাপটির
অকাল মৃত্যু ঘটে
আর আমাগো গেরামে
মাতবরের বাহাদুরি রটে ।