ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সবুজ চত্ত্বরে
একটি বটবৃক্ষ ছিলো একাত্তরে ।
পাকিস্তানের হানাদারেরা ওটাকে ভেবেছিলো-
বাঙালী, স্বাধীনতাকামী প্রতীকী চরিত্র হয়তো !
তাই, এটাকেও বাঁচতে দেয়নি পাক হায়েনায়
উপড়ে ফেলেছিলো- হিংসায়, যুদ্ধের দামামায় !
স্বাক্ষী ইতিহাস । আজকে অপরাজেয় বাংলার সামনে যে বটবৃক্ষ-
সে শহীদের নতুন প্রজন্ম ।
উনিশ শত একাত্তরের পূর্বে, বটতলায়-
বজ্রকন্ঠের ভাষণ ছিলো স্বাধীনতা কামনায় ।
আড্ডা ছিলো ছাত্রনেতাদের, বীর বাঙালীদের-
এটিই হয়তো ক্ষোভের কারণ ছিলো পাকিদের !
এজন্যই ঐ বৃক্ষকে হত্যা করা হয়েছে-
কতোটা নির্দয় ছিলো ওরা, বুঝুন- অনুধাবনে ।
তারপর, যুদ্ধ-বিজয়-বাংলাদেশ হলো ।
একদিন বাংলাদেশের বন্ধু এডওয়ার্ড কেনেডি এদেশে এলো-
উনিশ শত বাহাত্তর ১৪ ই ফেব্রুয়ারি,
পুনরায়, ওখানে একটি বটের চারা রোপন করেছিলেন তিনি, আজ যেটি দেখি ।
আজকের বটবৃক্ষ আমার কবিতার পাতায়-
ঠিক মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তী প্রজন্মের মতই ধারাবাহিকতায়-
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনে,
দাড়িয়ে আছে স্বাধীনতা নিয়ে নির্দ্বিধায় ।