তোমার জানালা খোলার আওয়াজ পেয়েই
বুঝলাম , আমার বৃষ্টি হওয়া সার্থক হলো!
তোমার হাত বাড়িয়ে দিতেই জলকনা হয়ে গড়িয়ে পরলাম তোমার হাতে ৷
সময়টা অল্প করে দিয়ে তোমার হাত মুছে ফেললে ,
কোন এক রৌদ্রজ্জল দিনে তোমাকে পাওয়ার প্রয়াসে , রোদ রয়ে গেলাম৷
তোমার শরিরে আমার উত্তাপ ঘাম হয়ে
বেচে থাকার আশা বাধিল ৷
তুমি আমার সে আশা নৈরাশ করে
পাখার বাতাস আগুন রূপে আমাকে মুছে দিলে ৷
শৈত প্রবাহ কালে শীতের তীব্রতা দিয়ে ছুয়ে দিলাম তোমাকে ,
দুহাত দিয়ে ডেকে দিলে তোমার দুই বাহু !
ভাবিতেছি আমি লজ্জা পেয়েছে নিছক৷
অতঃপর আমার ভাবনা মিথ্যা হয়ে চাদরে পেচানো শরির আমার থেকে আলাধা করে নিলে .
বৃষ্টি হইলাম
রৈদ্রুর হইলাম
হইলাম শীতাপ্ত
অবশেষে এক রাত্রিরে বিদ্যুত প্রবাহ বিচ্ছিন্ন হওয়াতে লাগিল আমারে মোমোবাতি রুপে!
আমার চুল গুচ্ছতে আগুন ধরিয়ে সেকি খুশি তোমার মনে.
জোসনার অবর্তমানে আমার আলোয় দেখিলাম তোমার তৃপ্ত চোছ ৷
এই প্রথম ছুয়ে দিলে আমায় , তোমার হাতে আমার দেহ গলিত হয়ে পড়ছে .
তুমিতে আমি তুমিময় হয়ে গেলাম
বৃষ্টি রৈদ্রুর শীতাপ্ত মোমবাতি বলেই চিনেছ আমায়
তোমার অজান্তেই নিভে গেলাম আমি
মিষে গেলাম অন্ধকার হয়ে তোমার মধ্যে!