ইসলাম রুধিবে বজ্র সাগরে উত্তালে ঢেউ চলে!
ঐ দামামার ডঙ্কারে সারা আসমান যেন ঢলে!
কলরোলে হুঙ্কার
শুনি“আল্লাহু আকবার!”
ঘন দুন্দুভি মৃদঙ্গে বাজে শহীদের তলোয়ার।
শুনি“আল্লাহু আকবার!”
পুণ্য পন্থা জাগি,
ওই সাহারার অন্ধকারে নিশীথের অনুরাগী!
জাগাইলো হৃতবল,
ঐ কাফেরের কোলাহলে যত মুসলমানের দল।
বদর কদর বরাতের রাতে
বিক্ষুব্ধ মনুফণী,
আনন্দে তারা মাতোয়ারা হয়ে
উল্লাসে রণরণি!
বালু প্রান্তর ঘোড়ার ক্ষুব্ধ খুঁড়ে,
আযানের ফুৎকারে,
বুঝি থেমে যায় দম দম;
ঈসরাফিলের শিঙায় বাজে
সঙ্গীত মনোরম!
জাহান্নামের সুরে,
শুনি ধ্বংসের শন শন!
ওই উহুদের প্রান্তরে,
শহীদের দেহে কাফেরের দলে রক্তের খেলা করে।
বিষাণ উঠিছে রক্তের রঙে লালে লাল!
খোদার আরস হেলিয়া দুলিয়া বে-সামাল!
মদিনার মিম্বরে,
সুললকন্ঠী ঝঙ্কারে অম্বরে,
খল খালিদের প্রাণ
হয়ে গেল ম্রিয়মান।
ইসলাম পেল আল্লাহর তলোয়ার
কম্পিত সব কঙ্কাল জানোয়ার!
করজোরে হুঙ্কার
শুনি“আল্লাহু আকবার!”
জ্ঞানদরবারে জ্ঞানের দ্বার যে খন্দক প্রান্তরে
এককোপে মহাকাফেরের শির ছিন্নভিন্ন করে!
জুলফিকারের জোরে,
খান্নাস জিন থরথরে কাপে ভূমিকম্পের মতো!
আসমান থেকে আগত ফেরেশতারা,
নাঙ্গাতীরের ধারা!
ছুটে চলে অবিরত
নবীজির পয়গামে;
আল্লাহর বাণী জিব্রাইল আনি নিখিলের ধরাধামে।
জাহিলির যুগে আবু জেহেলের দলে
ক্রন্দল করে বলে,
“আলামিনের ওই অগ্নিশিখা ইন্দ্রজালের জ্যোতি!
আমাদের মাঝে কারা তার অনুবর্তী?
তাদেরকে ধরে আন্
(আমি) করে দেই কুরবান।”
কত নয়নের জল দিয়ে তারা গড়াইলো ইসলাম?
কত শহীদের রূহ দিয়ে তারা বাধাইলো আহকাম?
বলে দেরে মুনাফেক্,
আল্লাহ্ ব্যতীত ইলাহ্ নাইতো,মহান আল্লাহ্ এক।