হাজারো বুখানাঙ্গা, অভাগা মানুষগুলোর দু:খ অবিরাম,
শত অবহেলায় চলে এখনো তাদের জীবনের সংগ্রাম।
উৎকট গন্ধমাখা দেহে অনাহারী কোন ভিক্ষুক,
কিংবা অস্থিচর্মসার গাঁয়ের নিরন্ন কৃষক।
যারা আজো বাঁচার জন্য আত্মচিৎকার করে,
জ্বলন্ত সাক্ষী হয়ে রয়েছে এ পৃথিবীর পরে।
গরীব দু:খী বলে করছো যাদের শুধু ঘৃণা,
কেন যাবে না তাদেরকে মানুষ হিসেবে জানা?
তাদের প্রতি তোমাদের যত নির্দয় আচরণ,
এতকাল চলে আসছে বলে, চলবে কি আজীবন?
পতিতারা যেমন যন্ত্রণায় কাঁদে, নিত্য বাসর ঘরে!
তারাও তো বাঁচতে চায়, তোমাদের মতো করে।
পাপ পঙ্কিল ঘৃণিত জগতে তাদেরকে বদ্ধ রেখে,
ভোগের পণ্য ভেবে কতদিন যাবে শুধু দেখে?
রাস্তার কুকুরের মতো ঘৃণা করো দিনের বেলা,
নিশিতে আবার তাদেরকে নিয়েই চালাও প্রমোদ খেলা!
স্বার্থ টুকু বুঝে নিয়ে অবশেষে রেখে যাও ফেলে,
মুখোশ পড়ে থাকা তোমাদেরকে, কে-ই বা অসৎ বলে?
অনাহারী যত পায়নি দিনমান একমুঠো খাবার,
ক্ষুধার জ্বালায় মরে গেলেও কেহ নেই দেখার!
ঘৃণার পাত্র হয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরে সারাক্ষণ,
অভুক্ত থেকে দেখো তোমরা, জঠর জ্বালা কেমন।
পৃথিবীর বুকে অবলা, অনাহারী, অত্যাচারিত যত,
ভেবে দেখো সংখ্যায় ওরা এখনো অগণিত।
কৃষক, শ্রমিক, নিপীড়িত মানুষ কিংবা যত মেহনতি,
তাদেরকে অবহেলা করলে থমকে যাবে সভ্যতারই গতি।