রূপসী আঁধারের মাঝে অচেনা কোন পথে,
ছুটে চলেছি আজো আমি একাকী অবিরাম।
দূর আকাশের মাঝে নির্বাক তারাগুলো,
অপলক চেয়ে আছে নিশাচর পানে!
সুরেলা অনুভূতির একটু শীতল পরশ,
রূপসী আঁধার কে জড়িয়ে সীমাহীন মমতা!
পায়ে জড়ানো বনের তৃণলতা সব,
সরিয়ে খুঁজে পেতে হলো চলার পথ।
প্রণয় নেশায় উদ্ভ্রান্ত পথিকের বুকে আজ,
দুরন্ত এক উচ্ছ্বাস, মানেনি কোন বাধা।
হন্তদন্ত তাই রূপসী আঁধার কে ঘিরে,
যেতেই হবে আজ কাঙ্ক্ষিত প্রশান্তির নীড়ে।
লাবণ্য ভরা আঁধারের নীরব শরীর ছুঁয়ে,
মমতায় জড়ানোর মোহে শুধুই ছুটে চলা।
আঁধারের বুকে বহমান উর্বশী সুরার নদী,
তৃষ্ণার্ত পথিক হয়ে করছি শুধু অবগাহন।
এখানে ছড়ানো ছিটানো পাহাড়, ঝরনা, গিরিপথ,
উপত্যকা, নদী আর আমার চলার পথ।
বসে আছে সব উদার কমনীয় রূপে,
কোন এক রাজপুত্রের আগমনের অপেক্ষায়।
আলোকে খুঁজতে গিয়ে একে একে ওসব,
মাড়িয়ে যেতে হবে আমার শেষ ঠিকানায়।
রূপসী আঁধারের মাঝে নীরবে লুকিয়ে আছে,
অফুরন্ত বিশ্বাস আর আলোক পথের পদধ্বনি।
এখানেই লুকিয়ে আছে জীবনের অনন্ত প্রত্যাশা,
বেঁচে থাকার অদম্য প্রেরণার গোপন কথা।
আঁধার বেধ করেই কোন এক সময়,
নীল আকাশে উড়বে শান্তির পায়রাগুলো।
ধরণী যখন ঘুমিয়ে নিদ্রা দেবীর কোলে,
আঁধার আর আমি জেগে আছি সখ্যতায়।
পথের শেষ ঠিকানা খুঁজবো ভোর অবধি,
যেভাবেই হোক পৌঁছতে হবে স্বপ্ন পুরী!
নিশিবর চলা উদ্দামতা থেমে গিয়ে,
অগভীর এক খাদে আটকে যায় পদযুগল!
মায়াবী আঁধারে হারায় ছুটে চলা পথ,
ঝাপসা চোখে শুধু নিকষ কালো আঁধার।
ব্যর্থতার ঢেকে যায় চাওয়া পাওয়া সব,
ভোরের আলোয় দেখি বীভৎস এক নগরী!
যেখানে নিস্তেজ পড়ে আছি অবহেলায়,
অবশেষে কেটে যায় নিশাচরের নেশা!
দেখতে পাচ্ছি ‘সভ্যতা’র নগ্ন জানোয়ারগুলো,
আদিম উল্লাসে মত্ত অনেক ‘আলো’কে জড়িয়ে!
পাপ পঙ্কিলতায় ভরা এ নরক রাজ্যে,
‘সভ্যতার আলো’ ঘুচাতে পারেনি একটু ‘আঁধার’!