সুখ নামক পাখিটারে খুঁজতে গিয়ে,
কত যে অজানা পথ এসেছি পেরিয়ে।
রাতের আঁধারে শুকতারাকে দেখতে গিয়ে,
নির্ঘুম কেটেছে অসংখ্য রাত আকাশ পানে চেয়ে।
ছুটে চলেছি জীবন সমুদ্রের তটরেখা জুড়ে,
এক ফোটা জল পাইনি খুঁজে বালিয়াড়ি খুঁড়ে।
কত ঝড়, কত ঢেউ এসেছে বুকে বারবার,
সব কিছু নিচ্ছি মেনে আজও নির্বিকার।
মোহভঙ্গ শেষে বুঝলাম সারা দুনিয়া না ঘুরে
সুখের জন্য ফিরে যেতে হবে আপন নীড়ে।
যেখানে আমার নন্দিনী আজও আছে বসে,
সেখানেই আমাকে ফিরে যেতে হবে অবশেষে।
একরাশ স্বপ্ন বুনে নন্দিনী তার মনের ভিতর,
হাতে মালা নিয়ে কাটাচ্ছে প্রতীক্ষার প্রহর।
সুখ পাখিটা গাইছে গান আমারই কাননে,
আঙিনায় ফোটা ফুলের সৌরভে প্রশান্তি আনে মনে।
নিজ বাগানের ফুল দিয়ে নন্দিনী গেঁথেছে যে মালা,
সে মালা পরিয়ে আমায় জুড়াবে তার বিরহ জ্বালা।
আমায় পাশে পেয়ে নন্দিনী যখন হবে আত্মহারা,
খোঁজার প্রয়োজন হবে না আর আকাশের শুকতারা!
নন্দিনীর বুকে বয়ে যাচ্ছে সুখের প্লাবন অবিশ্রান্ত,
যেথায় অবগাহনে ক্লান্ত আমি হয়ে যাবো শান্ত।
তাই দুঃখ ভরা তপ্ত মরুবক্ষ থেকে বাঁচার সন্ধানে,
ফিরে যেতে হবে সুখে ভরপুর নন্দিনীর মরূদ্যানে!