দুয়ারে দাঁড়ানো ভিখারীর মতো ফিরিয়ে দিলে যখন,
কি অপরাধ আমার, একবারও ভাবলে না তখন।
আমি এমন কিছইতো চাইনি, যা তুমি পারতে না দিতে,
কতটুকু চেয়েছি তোমার কাছে, তাও চাইলে না জানতে।
চেয়েছি একটু ভালোবাসা, হৃদয়ের তৃষ্ণা নিবারনের জন্য,
বিনিময়ে দিয়েছো অপবাদের মালা, চরিত্রহীন করেছো গণ্য!
হিংস্র হায়েনা কিংবা শকুন কেন ভাবতে গেলে আমায়,
আমি কি টেনে হেছড়ে তাদের মতো খেতে চেয়েছি তোমায়?
নাকি ডাকাতের মতো তছনছ করেছি দামী আসবাবপত্র,
সোনা দানা লুটে নেবার পর তোমাকেও করছি অপবিত্র!
তোমার বিশ্বাসের ঘরে ঢুকে আমি করিনি তো সর্বনাশ,
অথচ না বুঝেই তুমি কলঙ্কিত করলে প্রেমের ইতিহাস।
আমি এখন চলেছি একাকী অজানা গন্তব্যের পানে,
তার কোন ঠিক নেই থামবো গিয়ে কোন খানে?
আজ যখনই ভুলতে চাই, তোমার দেয়া যত কষ্ট বেদনা,
মনকে দিতে পারিনি প্রবোধ, ভুলিনি তোমার প্রবঙ্চনা।
নীরবে পুড়ে অতৃপ্ত আত্মা আজ করছে শুধু হাহাকার,
শরীরী কাঠামোর ভিতরটা অঙ্গার হতে বাকী নেই আর!
ভালোবাসার কষ্টগুলো আমাকে উপহাস করে অবিরত,
তবুও বেঁচে আছি আজও অনেকটা মৃত্যুপথযাত্রীর মতো।
প্রেম প্রবঙ্চিত মনে ভাবি আজ, জীবনটা আর কিছু নয়,
মিথ্যে মায়ার বেড়াজালে জড়িয়ে থাকা সাময়িক সময়।