বাঁশিওয়ালা তুমি অন্তত আর একটিবারের জন্য এসো,
দেখে যাও সেদিনের সেই বিশ্বাসঘাতকগুলো
আজ আরও বেশি করে চিহ্নিত হয়েছে।
কালো রাত্রির অমানিশা অনেকটাই কেটে গেছে,
তারপরও মাঝে মাঝে সূর্য হারায় কালো মেঘের আড়ালে!
তুমি শুধু আর একটিবার তোমার বাঁশিতে সুর তোল,
সাত মার্চ এর মতো বাঙ্গালীর ধমনীতে বয়ে যাক রক্তস্ত্রোত।
আমাদের বিশ্বাস তাতে করেই
অশুভ সব দানবের জন্য ‘কেয়ামত’ শুরু হবে!
ইঁদুরগুলো সব গর্তে লোকাবে,
ধূর্ত শিয়ালগুলো পাহাড়ের গহীন বনে ফিরে যাবে।
একাত্তরের শকুনেরা এমনিতেই খুব একটা বেশী নেই,
লাশ খুঁজতে গিয়ে হয়রান হয়ে ঝিমচ্ছে এখন গাছের ডালে।
লাল বাঁদরগুলো একটু আধটু লম্পজম্প করবেই,
জাত সাপ বলে যে কটা ছিল, হয় মারা গেছে
নতুবা বিষ দাঁত ভেঙ্গে নির্বিষ হয়ে খাঁচায় বন্দী!
তোমার আগমনের খবরে পালিয়ে যাওয়া বেঈমানগুলো,
মাঝে মধ্যে ঘুরে বেড়ায় হায়েনার বেশে।
বাঁশিওয়ালা, তোমার স্বপ্নের মৃত্যু হয়নি, হতে পারে না,
আমরাও হতাশ নই যখন দেখি মরেনি তোমার একটি স্বপ্নও,
আমরা তোমাকে নিরাশ করিনি, করবোও না কোনদিন।
জানো, সুপ্ত আগ্নেয়গিরির মতো শাহাবাগ এখনো ঘুমিয়ে আছে,
প্রয়োজনে জাগবে বারবার।
তোমার নতুন সুরের মূর্ছনায়
অবশ্যই জেগে উঠবে লক্ষ কোটি সুপ্ত প্রাণ,
সদা প্রস্তুত বিলিয়ে দিতে তাদের তেজোদৃপ্ত যৌবন,
আরেকটি একাত্তরের জন্য !
এ বাংলার বুকে আমরা আর কোন রক্তাক্ত আগস্ট চাইনা,
চাইনা আর বেঘোরে মরতে।
তার আগেই তোমার শেষ বাঁশির মন্ত্রমুগ্ধ সুরে,
জাগিয়ে তোল নিদ্রাকাতর, অলস যত আমজনতাকে।
সব ষড়যন্ত্রের নাগপাশ চিহ্ন করে নতুন সূর্যের কামনায়,
হে বাঁশিওয়ালা, আমরা জেগে আছি তোমার আগমনের অপেক্ষায়।