অব্যক্ত কষ্টের বেদনায় গিয়েছি নীল হয়ে,
কষ্টগুলো তাই নিতে পারি না আর বয়ে।
জীবন সায়াহ্নে এসে ভাবছি বসে এখন,
এটা হয়তো নিয়তিরই অমোঘ বিধান!
আবার এমনও ভাবছি দুঃখ কষ্ট কোথায় নেই?
এমনি কষ্টের মাঝে আমিতো শুধু একা নই।
অবক্ষয়ে কলুষিত সমাজের মানুষগুলো রয়েছে নির্বিকার,
নিরন্তর বয়ে চলেছে তারা দূষিত রক্তের উত্তরাধিকার!
আমার যত কষ্ট তারই কিছুটা প্রতিফলন,
প্রকাশের ভিন্নতায় যার রূপ পাল্টায় প্রতিক্ষণ।
দিন শেষে রাত আসে সাথে নিয়ে অন্ধকার,
রাতদিন আমি কাঁদি, দিনে হাসে দিবাকর।
অমোঘ নিয়মে সবই চলে এ বিশ্ব প্রকৃতির,
তাল মিলাতে পারিনি কেবল আমি, তাইতো রয়েছি স্থির।
কষ্টগুলো সব জমে বাসা বেঁধেছে বুকে,
মনে হয় পাথরচাপা দিয়ে রেখেছে হৃদপিন্ডটাকে।
অসহ্য যন্ত্রণায় মুষড়ে যাচ্ছি কেবল আমি,
কতদিন এ কষ্ট সইতে হবে জানেন অন্তর্যামী।
চেতনার অমানিশা কাটাতে পারি না কিছুতেই,
ভাবনার অতল গহবরে তাই কেবলই হারিয়ে যাই।
নিভৃতে ফেলে যাওয়া চোখের নোনা জলে,
ভিজে যায় বুক নিদারুণ অভিমান ছলে।
হৃদয়ের রক্তক্ষরণ পারিনি কাউকে দেখাতে,
বোঝার মতো কেও নেই, কাউকে পারিনি বোঝাতে।
হতাশার চরম সীমায় আমি রয়েছি এখন,
মনে হয় চলে এসেছে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণ।
আমার কষ্টগুলো আমারই থাকুক, সুখে থাকুক সবে,
শান্তি পাবে বিদেহী আত্মা আমার, পরকালে তবে!