যেখানে থামার কথা ছিল, হয়নি থামা সেখানে,
যা ধরা ছিল পাপ আর মানা ছিল যেতে যেখানে।  
সেথায় না যেয়ে, না ধরে আমরা পারলাম কই?
তুমিতো মানতে চাওনি নৈতিকতার সীমানা কিছুতেই,
আমিও বুঝতে চাইনি অধিকারেরও আছে কিছু সীমারেখা!
কোথায় কি বলতে হবে আর কোথায় থাকতে হবে চুপ,
জীবনের ব্যাকরনে এমন বাক্যগুলো ছিল বড়ই বেমানান।
আবেগের বন্যার মাঝে একটা সময় ভেসে গেছে সব,
নদীর পাড় ভেঙ্গে উপড়ে পড়া বাড়িঘরের মতো!
বলো, এখন কে কাকে কতটুকু দোষ দেবে?
পাপ অনুতাপের হিসেব নিয়ে শুধুই নিষ্ফল আক্ষেপ।
রিপুর উপর খবরদারি করতে পারিনি একবারও,
বোঝাতে চেয়েছি সবই ছিল বয়সের দোষ
আবেগের বশে করেছি যত সুন্দরের সর্বনাশ!
আদিমতায় ভরা প্রকৃতির খেয়ালীপনার মাঝে
একসাথে করেছি খেলা পোড়া আত্মার ঘরে!
সভ্যতার ভাষা কখনও বুঝতে চাইনি,
খুঁটে খুঁটে সরিয়েছি কেবল পুরনো পলস্তারা
আর হিসেব করেছি খসে পড়া পোড়া ইটের বয়স নিয়ে!
আমরা দুজন শুধুই খুঁজে ফিরেছি ধরণী তলে,
পাইনি কখনো মনের মতো কোন প্রত্ন জলাধার!
দেশ থেকে মহাদেশ, সাগর থেকে মহাসাগর,
কোথায় পড়েনি হাতের স্পর্শ আর দু’পায়ের চাপ!
সারা পৃথিবী চষে বেড়ানোর পরও,
ভূতলে লুকানো রত্মরাজি থেকেই গেলো আজো অধরা!
আপচুষ ও দোষারোপের আড়ালে কেটে গেল সময়গুলো,
লুকানো রহস্য লুকিয়েই রলো, এখন শুধু বিদায়ের ক্ষণ গোনা!
রেখে যেতে হলো সব কিছু উত্তরাধিকারের কাছে,
তারাও থাকুক না লেগে, খুঁজে পেতে আরাধ্য পাওনা।