আমাদের ছোট্ট সোনা,
যদি বলো নাম কি মনা?
খিলখিলিয়ে হাসে হা…হা…হা
তারপর বলে, আমি মুনতাহা।
ওর দিনটা শুরু হয় ভোররাত্রী,
আমরা তখন ও ঘুমের যাত্রী।
মসজিদ হতে ভেসে আসে আজানের সুমধুর ধ্বনি,
ঘুম ভেঙে দেখি বুকের উপরে আমার যাদুখানি।
ডাকছে বাবা ও বাবা ওয....যে পাখি,
অবাক হয়ে ঘুমকাতুরে চোখে দেখি
বাতায়ন ধারে,নিমগাছের ডালে,
মৌটুসি পাখি আছে বসি।
ওর মা কে ডেকে বলি,“ওগো” খোলনা দুটি আঁখি,
এই ভো্রেতে ওকে ঘিরে রঙ্গিন স্বপ্ন বাঁধি।
দাঁড়াই যখন জায়নামাজে
মেয়েটা তখন দৌড়ে,এসে,জায়নামাজে লুটিয়ে পড়ে।
হে আল্লাহ, রাহমানুর রাহীম
দয়াময় তুমি,অনন্ত অসীম।
মো্র মিনতি শো্ন হে প্রভু!
দুঃখ দিওনা,বিপথগামী করোনা কভু,
মেয়েটাকে মো্র সদা রেখ ভালো
দাও ঐশী জ্ঞানের আলো
দূ্র করগো স্রস্টা তুমি,
মোদের মনে আছে যত কালো।

সকাল বেলা যখন আমি প্রাত ভ্রমনে যাই,
ছোট্ট মেয়ে পিছু ধরে,ফুলবাগানে ছুটে চলে
পাখির সাথে গান করে,
নাশতার সময় কোলে ওঠে টুকটুকিয়ে খায়।
অফিস যাবার সময় বায়না ধরে,
মা আমি বাবা যাই?
সে কি ভীষন কান্নাকাটি্,মেঝের উপরে গড়াগড়ি।
আমি তখন চো্রের মতন পালায়।
খেলার পুতুল,পি…পিপ গাড়ী
এসব নিয়ে ছোটাছুটি,মা-মেয়েতে খুনসুটি
কখন হবে বাবার ছুটি?
দিনের শেষে, ক্লান্ত বেশে যখন ফিরি ঘরে
মেয়েটা আমার ঝাপিয়ে পড়ে বুকে।
রাত্রীবেলা খাবার সময়,দু-চারটে ভাত তুলে
দেয় সে পিতামাতার মুখে,তারপর খায় নিজে।
চাঁদ মামা তার ভীষন প্রিয়,প্রিয় তারকারাজি
সাবরিহা তার খেলার সাথী,আরও আছে সাবু মামাজ়ী
সবচেয়ে প্রিয় সাদা বিড়াল ছানাটি।
বছর ঘুরে রঙ্গিন বেশে আসে দুটি ঈদ
দাদা-দাদী/নানা নানীর সাথে গায় সে,খুশির গীত।
সেই গীতে যায় সুর দিয়া সুরের পাখি পাপিয়া
আরও আছে ফারিহা,ফাহমিদা,সাদমান,সামিহা আর তাসপিয়া।
এমনি করে কাটুক জীবন,দোয়া করবেন প্রত্যেকে
সকলের প্রতি সালাম রইল,শ্রদ্ধাবনত চিত্তে।