মেয়েটাকে বিয়ে দিব, দুজনেই ভাবছি,
মনে মনে একটা, ক্যাডার খোঁজ করছি।
বেলার বাবা যখন ক্যাডারের খোঁজে,
তখন আমি চোখ বুজে জিকে বই পড়ছি।
বাবা আমার হৃদরোগে, অনেকদিন ভুগছে,
অভাবের সংসারে, জীবনটা ধুঁকছে,
একবুক আশা নিয়ে, পারি জমায় শহরে,
মাকে নতুন শাড়ি, কিনে দেওয়ার ইচ্ছে।
একসাথে পড়াশোনা, নাই কোন টেনশন,
রোহান' হেসেখেলে, কাটাচ্ছে দিনক্ষণ,
যখন আমি বসে থাকি, কেন্দ্রীয় পাঠাগাড়ে,
১৮'র পরিপত্র, ঘাটছে সে সারাক্ষণ।
পাঁচবার ফেল করে, আরেকজন সতেরোবার,
এরপরেও মিলে না, কোন একটা চাকরি তার
শেষ একটা ভরসা পেল, যদি পাই কোটা,
কোটার দোহাই দিয়ে, হয়ে যাবে চাকরি তার।
রিট করে, হাইকোর্টে, কোটা চাই বাংলায়,
সব আশা ভেসে গেল, বৈষম্যের বন্যায়,
বই-খাতা গুছালাম, যাব শহর ছাড়ি,
চাকরি তো তারা পাবে, যারা কোটাধারী।
মনে হলো পরক্ষণে, ১৮'র আন্দোলন,
ছাত্র সমাজের এক, মিলিত বিস্ফোরণ,
সারা বাংলা কেঁপেছিলো, কেঁপেছিলো রাজপথ,
আজও তো আছি মোড়া, আছে সেই রাজপথ।
স্লোগানে মুখরিত, হাসনাতের জবানটায়,
বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, বৈষম্যের ঠায় নাই,
আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠায় নাই,
কোটা না মেধা? মেধা, মেধা, সোচ্চার প্রতিবাদ।
চির অপরাজেয়, ছাত্র সমাজ জেগেছে,
১৯৫২, ১৯৫৪, ১৯৬৯,১৯৭১, ২০১৮
কখনো হারেননি, হারবেও না,
বঙ্গবন্ধুর সৈনিকেরা, কখনো হারে না।
বেলা তুমি অপেক্ষা করো, কোটা বাতিল হবেই,
চাকরিটা হলেই তোমায় কল দিব,
পরক্ষণে, বিপিএসসি'র প্রশ্নফাঁস কান্ডে
বেলার কল আমিই কেটে দিলাম....