আমি কবি,
কবিতার শব্দ বোমা ফ্যাসিস্টদের ছুড়ে মারতে
মন চাইতো।
পারতাম কই! ছয় লাইন কবিতায় নয় লাইন সংশোধন করতে হতো।
দশ লাইন কবিতা প্রকাশের আগে পাঁচ লাইন হয়ে
প্রকাশ হতো।
বিনা অপরাধে ভাই বন্দি, বোন কারাগারে আবদ্ধ কারন তারা সত্য বলতো।
বাক-স্বাধীনতা কাগজে কলমে আবদ্ধ থাকা দেশে তারা মুক্তির গান গাইতো।
তারা সুনাগরিক হয়ে সরকারের সমালোচনা করতো তা কী সহ্য করার মতো?
স্বৈরাচার চাই গোলামি আর তারা গাইতো স্বাধীনতার গান, মানার মতো?
স্বৈরাচার তাই আইন করে বাক-স্বাধীনতা কেড়ে নিলো কিন্তু মুখ কী বাঁধা যায় সবার?
স্বাধীনতা যখন দেশের কোনে ধুকছে, সংবিধান আর বইয়ে আবদ্ধ,
তখন ডাক আসলে নতুন করে স্বাধীন করার এগিয়ে আসলো ছাত্র-জনতা,
রচিত হলো স্বাধীন একটি দেশ, স্বাধীন বাংলাদেশ।
এখন আর, ভাইভায় কেউ হিজাব খুলবে না,
বই মেলায় ইসলামিক বই নিষিদ্ধ হবে না,
রমজানের আলোচনায় কেউ হামলা করবে না,
দাড়ি দেখলেই কেউ নিষিদ্ধ ট্যাগে জেলে যাবে না,
ওয়াজ থেকে মাওলানা গ্রেফতার হবে না,
বই মেলায় পাবলিকেশন নিষিদ্ধ হবে না,
মসজিদে মহিলা ভিসি ঢুকবে না,
কবিতা লিখে বারবার সংশোধন করতে হবে না,
বাকস্বাধীনতা রুদ্ধ করে রাখতে পারবে না,
পূজোর মন্দিরে আক্রমণ করে ডিভিশন করবে না,
কোন মানুষ অকারণে গুম হবে না,
আরো হাজার রকম বাধা থেকে আমরা স্বাধীন,
আমার স্বাধীন দেশ, বাংলাদেশ।