অতঃপর বৃষ্টি সিক্তকরণ শেষে
ঝিলে বিলে শাপলা পদ্ম ফুলে...
চারিদিকে এক শুষ্ক মলিন পবনে -
নেচে ওঠে মন বড় রোদেলা দুপুরে ।
বরষা যে শেষবার সেই হয়েছে কবে ?
শরৎ এর মধ্যে কি তুমি আবারো নামিবে !
সময়োচিত নিভৃতে নিরালায়ে গোধূলিলগ্নে ।
ওই দূর আকাশের রাঙা মেঘেদের ভিড়ে...
মেঘবালিকা নামে কেউ কি ওথায় উড়িছে !
প্রকৃতিতে এখন শরৎ এর বিলাসে...
কাশফুল , শিউলি আর সাদা ফুলের
ছড়াছড়ি চারিপাশে !
শুভ্র বলাকার ছন্দিত কানন দোলানো...
ভর করে উড়ে যাই সে বহুতর প্রান্তে ।
পাহাড়ি সাদা কাশফুলে ঢেউ দোলানো ,
ওই দূর আকাশপানে নেচে ওঠে মন প্রান্তরে !
বিলাসী সে ভাবনায় চঞ্চলা এ অবকাশে...
খন্ড খন্ড মেঘ ভেসে বেড়ায় শুভ্র অঞ্চলে ।
পথ কাটে ওই দূর নীলিমার সুরভিত অঙ্গনে ,
সেখানে শরৎ কুমারী মিড় দেয় বেহালাতে !
এলোমেলো কাশফুলের ঢেউ দোলানো
মিলন - বিরহে ।
অন্তর দিয়ে অনুভব করে শরতের আভাসে....
আপনি আলোয় উদ্ভাসিত হয়ে যায় উচ্ছাস্বে।
বাতাসের মিহি টান নিয়ে যায় অনন্তে ।
মুঠোবন্দি করে ফেলেছে মোরে চারিপাশে,,,,
নীলজলে ছড়িয়ে থাকে সে মোহ মনোরবে !
কাশের বনে আল্পনা আয়োজন শেষে......
ছুটে চলা সে পথে অবিরাম ভাবে - -
বুলায়ে বুলায়ে নীলাকর হিম এই ভাদ্র মাসে !
অনেক দিন পর -
রচনা কাল
১১ ও ১২ ভাদ্র
১৪২৬ ।