কাউরে ভালোবাসা তো অন্যায়
>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>
কাউরে ভালোবাসাটা তো অন্যায়!
না মানে তোমার কথায়।
তোমার স্বামী সরকারী জব হোল্ডার;
বিদঘুটে হৃদয়ে চাকুরী জয় করে নিলো সমাজ, তোমাকে আর তোমার বাবা মায়ের অন্তস্থল। আমরা যারা বেকার, তাঁরা কেবল তোমার স্বামী সংসার আর ছোট বাচ্চাটা দেখে ঈর্ষায় মরে যাই; আহারে আজ আমিও সম্ভবত তোমার গর্ভ খুলে — লিখে দিতে পারতাম ইহসান, আমাদের সন্তান! তা আর হোলো কই? আমি তো এখনো বাবার ঘাড় ভেঙে খাই, পাবলিক বাসে ঝুলে ক্যাম্পাসে যাই।
..........
সন্দেহপ্রবন
>>>>>>>>>>>>>>>>
তুমি কাকে যেন মনেমনে ভালোবাসো;
বুঝতে গিয়েও বুঝিনি ঠেকিয়ে নিজেকে
শোনো চাঁদ যদি উঠে কোন ঘোর পূর্ণিমায়
কি করে সে আলো ঢেকে রাখে?
তুমি বলোনা আমাকে গোপন কোন কথা
কার সাথে যেন গোপনে মুখ চেপে হাসো,
কার তরে জমিয়েছো সবটুকু হাসি—
বলো চুপিচুপি কাকে ভালোবাসো?
শীমের মাচার মতো বছরের শেষ দিকে
আমিও শুকিয়ে যাই ধীরে ক্রমশ—
তুমি শেষ কবে বলেছিলে আমাকেই চাও
এখন কাকে চাও, কাকে ভালোবাসো?
আমি সন্দেহপ্রবন গাঁয়ের কুটিল পুরুষ
ব্লাউজের বোতামে কারো হাত খুঁজি
অন্য কাউকে কি তোমার ভালো লাগে?
আমি ভালোবাসা বলে শুধু সন্দেহ বুঝি।
তুমি আমার বালিশে চোখ ফেরাওনা আর
বিছানায় তবে আর কাকে খোঁজো?
রান্নায় এখন আর সেই স্বাদ কই গেলো—
কার পাতের স্বাদ বাড়াতে বেগুন ভাজো?
কাউকে কি দিবে রেঁধে কৈয়ের ঝোল —
নারকেল পিঠা, ক্ষীর আবার পায়েসও—
আমার ফোনে তো কই উদগ্রীব নয় আর
কার ফোনে খিলখিল করে হাসো?
...............
ভালোবাসা একটি জাহান্নামের কীট
.>>>>>>>
আমি দেখি। মানুষ ভালোবাসে। তারা ভালোবাসে সম্পদ ও প্রেমিকা; আর একটি পৃথিবী — যেখানে নীল ডাউন হয়ে বসে থাকে গলির কুকুরদের সাথে কিছু বাস্তুহীন প্রেমিক কবি; যারা ঠকঠকে শীতে কাঁদে আর ফোপাঁয় —পকেটের টাকা কাঁটা হয়ে ফুটে যায় শার্টের সুতায়।
প্রেমিকা সে, যার প্রতারণা আমাদের বেহেশত থেকে তাড়িয়েছে— নগ্ন পায়ে হাঁটিয়েছে শ্রীংহল হতে পাথর পাহাড়ে পাহাড়ে।
.......
প্রেম ও বিচ্ছেদের ছড়া
>>>>>>>>>>
আমার দুঃখ আমি দেখাই কাকে?
ছেলে হয়ে জন্মেছি ধরণীর বুকে।
যার নাকি নাই কোন দুঃখ বা শোক;
বুকে ধরে শুয়ে পরে শত অভিযোগ!
প্রেমিকার পাশে আজ অন্য এক লোক;
স্মৃতি তাকে জেঁকে ধরে যেন সিনে জোঁক
বললে দোহাই দেবে; সে যে কত অভিনয়
মানসিক গেমে তুমি আগে মানো পরাজয়
এত সোজা ছেলে হয়ে বেঁচে থাকা ভাই?
নুনু ছাড়া বাকি কোন অধিকারই নাই!
তুমি যে থরে সাজানো কোন এক টয়;
মরতেও পারো না; মরবার ভয়!
চিৎকার করলেও ফিরে আসে নিজ কানে
তুমি ছেলে চুতিয়া বিধতা পুরুষও জানে;
তোমাকে দিয়ে হবে না জয় করা রাজ্য
ফিরে যাও খোকা ঘরে তুমি পরিত্যাজ্য।
..........
সাগুফতা শারমিন
................
মাটির চেয়েও অধিক মাটি
পাথুড়ে কালারে মোঁড়া বিশুদ্ধ আলো
তারচেয়ে অধিক বিশুদ্ধ সাগুফতা
যত দেখি তত জমকালো!
আমার ঋন আছে খোদার কাছে—
আমারে দিয়েছে যিনি এমন সৃজন
শারমিন ভালোবাসে প্রায়োরিটি মোটামুটি
আমরা পরিপূরক দুজনার দুজন।
সূর্যের চেয়ে আরো উজ্জ্বল জ্বলজ্বলে
রঙিন মনেহয় রঙের চেয়েও তারে
হাসি দিলে খাসি হবে বেবাক পুরুষ
সাগুফতা এতই ভালো হাসতে পারে!
আমার তো বেজে গেছে সোয়া বারোটা
হ্যাঁ, আমার সময় যায় অধিক দ্রুত
আমি প্রেমে পঁচেগলে শেষ হয়ে গেছি
জেনেশুনে খেয়েছি ষাঁড়ের গুঁতো!
আমাকে বাঁচাও প্রভূ, আর তো পারিনা
আর কত চুপ করে দেখে যাবো ওকে
সাগুফতা শারমিন খুন করে দিছে
ভুলভাল বলে যাই, না দেখার শোকে।
>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>
সরকারি চাকুরী
>>>>>>>>>>>>>>>
সরকারি চাকুরি নিতে পারেনি যে যুবক
সকালেই তাঁরে ছেড়ে চলে গেছে প্রেমিকা।
তাঁরে ফেলে চলে গেছে কত বাষ্পের বগি
আসর, মাগরিব, এশা, ফজর, যুহর — এমনো কেটেছে — যাদের কোন চাকুরি নাই, তিনবেলা পেট খালি, খেয়েছে চা-বিস্কুট।
আর চাকুরির লোভে, দৌঁড়ালো আমলার কামড়ায় —
বস্তুত,
পায়ের সাথে উঠে গেছে ইজ্জতের একপল্লা চামড়া!
..............