তুমি ঘুমোলে জেগে থাকে রাত
সাথে আমিও
জানো,ঘুমন্ত তুমিকে দেখতে বড় সাধ হয়
শতাব্দীর উচু-নিচু পথ পাড়ি দিতে ইচ্ছে করে তোমায় নিয়ে
কিন্তু দেখো সেই তোমাকেই দেখা হল না।
ঠিক আগের মত এখনও ঘুমোতে গেলে
ভাঙ্গা স্বপ্নগুলোর মাঝে জেগে থাকতে
হয় আধমরা হয়ে
মাঝ রাত্তিরে চারদেয়ালে বন্দী ঘরটাতে
আঁধারের বড় গোখরো সাপটা ফনা তুলে
ঘুরে বেড়ায় বিছানার চারিপাশে
তখন এক অসহ্য হাঁসফাঁসে দম বন্ধ হয়ে আসে আমার
জড়িয়ে ধরতে ইচ্ছে করে মৃত্যুকে
আমার কাব্য কক্ষের বাইরে বেরিয়ে এসে
আবেগ ভরা কণ্ঠে বলতে ইচ্ছে করে -
''আমায় একটু বুকে জড়াবে, ধার দিবে একটা দীর্ঘশ্বাস
তোমার বুক থেকে ? যাতে করে আরও
কিছুটা সময় বাঁচতে পারি।''
কিন্তু কেন এলেনা তুমি?
যখন ওই বিষধর সাপটা হঠাৎ করে নাই হয়ে যায়
একই সঙ্গে বেঁচে থাকার অনেক কথা
মনে হতে থাকে আমার
কিন্তু কি করব, তুমি তো আসবে না পণ করেই নিয়েছ
তাই বরাবরের মতই জীবনের তাকে এভাবে
জমতে থাকবো আমার আমি, শরৎ এর মেঘের মত
আর যখন জীবনও আমায় আর বইতে পারবে না
তখন সর্বস্ব উজার করে দিয়ে ঝরে পরব পৃথিবীর বুকে
অন্তত সেদিন পৃথিবী আমায় ঠিক বুকে জড়াবে...

__মৃত্তিকা