বসন্ত আজো এনে দেয়নি কারো ছোঁয়া উষ্ণতার
খুব জানতে ইচ্ছে করে কি আছে বসন্তের মাঝে ?
সুযোগ পেলে ঘাসের ফাকে খুঁজে দেখতাম;
কী সুখ কী আনন্দ আছে তার পরতে পরতে।
তোমার কাছেই তো সপে দিয়েছি সবটুকু
যা ছিল আমার বেঁচে থাকার একমাত্র অহংকার,
উদ্যত বাসনারা দুয়ারে বসে তোমার প্রতীক্ষায়
জমাট বাধা ভালোবাসা কমনায় কুঁকড়ে কাতর
তোমার প্রশস্ত বুকের তাপে গলে যাবে বলে
তোমার ছোঁয়ায় কম্পমান অনুভূতিগুলো
দ্বিধাহীনভাবে ভাসাবো বর্ষার জলে ।
শিহরিত উদ্ভ্রান্ত শরীরে নিমেষেই নেমে আসবে
নিষিদ্ধ রাত্রির ঘন কালো আঁধার
পিপাসারত কামনার হিংস্রতায়
মুহূর্তেই তুমি রক্তাক্ত করবে জোড়া ঠোঁট
আর নখের আঁচড়ে খতবিক্ষত হবে তোমার বুক-পিঠ
আবার সেই তুমিই ঠোঁটে ঠোঁট রেখে পরিতৃপ্তির প্রসন্নতায়
হারিয়ে যাবে নক্ষত্রলোকের ভিড়ে
বিদ্যুতের মত কামনাতপ্ত আকাঙ্খারা
ছুটতে থাকবে দুটি দেহের শিরা-উপশিরায়
নিদারুন যন্ত্রণায় কাতর আমি,
তবুও মিশে যাব তোমার দেহের সাথে বারংবার
সুতীব্র প্রণয়ের মাদকতার ধূসর ক্যানভাসে
জল রঙ, তেল রঙ আর এক্রিলিকের মিশ্রণে
রাঙাবো রাত্রির ঘনীভূত অন্ধকার
অতঃপর দিক প্রান্তে উদীয়মান সূর্যকে সাক্ষী রেখে
ভালোবাসার অহংকারে পূর্ণ হবো দুজনা.........
২৪/৭/২০১৪
রথী মিতু