জীবন হলো দু:খ-বেদনা, হাসি-কান্নার সমষ্টি।
জীবন হলো মানবের আত্বদর্শন।
জীবন হলো কল্পনার জগতে সীমাহীন পথ চলা!
মানুষের মোহমুক্তির আলোকপথ জীবন।
অপ্রকাশিত মায়াবী ,উজান স্রোতের ন্যায় কল্পনার জগতে যে অনন্ত যাত্রা ,তাও জীবন।
জীবনে আছে কত যে দুর্বার অন্তর্হিতি,
আছে কত যে পরিক্রমণধারা
আছে কত যে বিরহনের অনুরণন
আছে কত যে অতলস্পর্শ ব্যাথা ,যাহা নির্জন নির্ঝর!
এগুলো জীবনের রূপ!
মানবের জীবনে রয়েছে যে প্রাণস্রোতের অমৃত ভালোবাসা,
তাহাও জীবনের গতিপথে নিসর্গসঞ্চার করিতে পারে।
জীবনের রয়েছে যে কত রূপ,
রয়েছে যে চেতনাপ্রবাহ তাহাও কিন্তু ক্ষণিকের।
জীবনের যেমন শুরু আছে,রয়েছে সমাপ্তি, তাহাও সদানন্ত অধিকার বটে!
বেদনাময় জীবনের অধিকারীরা দেখে মুক্তির আলোকপথ,আলোকরেখা।
কারণ জীবনের এই রূপ যে তাহাদের সংঘাতের তরুণী,বেদনাময় সুখ।
জীবনের গীতে আছে তাই ভাঙা-গড়ার একটি অসীম আকাশ।
জীবনের সফলতালাভ করে তারাই
যারা বুনে জীবনের অন্তরালে স্বপ্নপথ।
তারা জানে, জীবন এক আলো-ছায়ার রূপ।
জীবনের সমাপ্তিকালে তার বাহ্যিক রূপের ইতি ঘটে বটে!
কিন্তু, এই ইতির সাথেই শুরু হয় অসীম অভিযাত্রা, যাহা চিরায়ত অবলোকন; অনাদি অগম্যতা।
প্রকৃতি ডেকে বলে মোদের,
শুরু-শেষের এই খেলায়
জীবন নামক রূপের যে চিরবিদায় ঘটবে, তাহা মিটিয়ে দিবে সব আশার আলো, মায়াবী আলোরেখা ,
ইহাই পরম চিরন্তন সত্য।
নিজেকে নিজে প্রশ্ন করি,
জীবন কি?
জীবন তো মহাসমুদ্রের মাঝ থেকে হস্তাঙ্গুলের সাথে লেগে আসা শুধু এক ফোটা পানির ন্যায়,
যাহা অতি নগণ্য বৈ আর তো কিছু নয়!