গ্রীষ্মের এই দাবদাহ
সবার জীবন যেন হয়ে গেছে আগুণের আঙ্গার দাহের রূপ।
পৃৃথিবী আজ হয়ে গেছে ম্লান,
কারণ নির্দিষ্ট ঋতুর সময় নেই যে নির্দিষ্ট ঋতু।
তাইতো অসময়ের পথ চলা শুরু হয় প্রকৃৃতিতে।
গ্রীষ্মকালে প্রকৃৃতির সুন্দর্যের রূপ যে পুড়ে যায় আগুণে।
ছোট্টকালে পড়েছিনু বৈশাখ-জৈষ্ঠ্য দুই মাস মিলে হয় গ্রীষ্মকাল।
হুম এই সেই গ্রীষ্ম!
যখন প্রকৃৃতিতে গরমের তীব্রতায় গা ছমছম করে মানবের।
এই ঋতুতে গাছ-পালা,নদী-নালা যেন স্তব্ধ শান্ত হয়ে যায়।
হেথায় গাছ নড়ে না তার মন খুলে; সূর্যের তীব্র রশ্মির আলোতে সে দাড়িয়ে থাকে এক স্থানে।
হুম এই সেই গ্রীষ্ম!
গ্রামগঞ্জে তখন পড়ে তীব্র রোদে ধান শুকানোর ধুম!
কখনো রাস্তায়, কখনো বাড়ির আঙ্গিনায় কিংবা কখনো নিজ বসতবিটার উঠোনে ধান ছড়িয়ে শুকানো হয়।
কিন্তু তখন প্রকৃৃতিতে আনন্দের সহিত তীব্র গরমের কালে হঠাৎ মেঘ গর্জন করে।
এবং অঝোর ধারায় আকাশ থেকে বৃৃষ্টি নামে।
তখনই সাধারণ কৃৃষক আর তার পরিবার ব্যস্ত হয় ধান ঘরে তুলতে।
আহ! এত কষ্ট করে শুকানো যাওয়া ধান ভিজে যায়।
থাকে শেষ কষ্ট আর চিন্তার সাধারণ ওই কৃৃষকগুলোর।
হুম এই সেই গ্রীষ্ম!
গ্রীষ্ম তার বিশেষ আচরণ প্রকাশ করে গরমের তীব্রতা দিয়ে।
এক সময় জৈষ্ঠ্যের শেষ দিকে গ্রীষ্মের বিদায়ের পালা এসে চলে।
তখন প্রকৃৃতিতে বৃৃষ্টি নামে অঝোরে ভিজিয়ে দেয় প্রকৃৃতিতে।
তখন প্রকৃৃতি সাজে তার নতুন সাজে। এরই মাধ্যমে আগমণ ঘটে বর্ষার।
বিদায় হয় গ্রীষ্মের, বিদায় হয় গরমের!!!