জীবন নামের ওই পালের তরী,
বুঝে উঠা যে যায়না তারি।
কেউ বা পেয়ে যায় দিবাকরের লিখ নে,
কেউ বা পায়না ওই দিবাকরের লিখানে।
সবই স্রষ্টাই মহিমা!
তবুও জীবনের লিখন যেহেতু স্রষ্টার
কী করব আর! ধৈর্য ধরে যাই এগিয়ে
স্বপ্নের ওই সোনালি স্নিগ্ধ পথের পাণে।
বিজ্ঞানের ভাষায়,
প্রাণ আছে যাহার, জীবন আছে তাহার।
এ জীবন হায়! ভেবে কী লাভ,
যদি না হয় স্রষ্টার নিয়মে চলিত স্বর্গীয় সুখময়।
জীবনে চলার পথে কত সুখ-দু:খ আসে
ঘটনা যে অনন্তের ন্যায়।
কত দুঃখ, কত বেদনার সম্মুখীন হতে হয়
তাইতো; ধরনী পরীক্ষাক্ষেত্র।
ধরণীর অফুরন্ত বিস্ময়ের মধ্যে
জীবন যে স্রষ্টার অপার নিয়ামত।
কত কান্না ভরা এ জীবনে,
নাহি বলিতে পারি এ লোককে।
কারণ; হেথায় যে উড়নচণ্ডী লোককে পাওয়া আকাশ কুসুমের মত
আদা জল খেয়ে লাগা।
এ জীবন-
কারো জীবন হয় সুখ ভরা,
কারো বা হয় সুখভরা,
কারো বা হয় দুঃখ মোর সুখের আকাঙ্ক্ষায় ঘেরা।
কিন্তু আপন মনে ভাবি নিরালায়,
দুঃখের ও সমাপ্তিতে আসিতেছে সুখ।
এ যে মহান রবেরই কথা।
রব বলেন, "নিশ্চয়ই কষ্টের সাথে রয়েছে সস্তি".
স্রষ্টার কথা বুকে ধারণ করে বলি ওহে,
আষাঢ়ের গল্প নহে, অবশ্যই আসিতেছে সুখময় সোনালি দিন।
আর, এই প্রত্যাশায় এ গোলাম চেয়ে স্রষ্টার পাণে।।।