তুমি কি দেখেছো পৃথিবীর কোন ভূ-খন্ডের রক্তিম আকাশ?
না, দেখোনি! কিন্তু জেনেছো যে, খবরা-খবর পড়েছো তাই তো!
জানতে কি চাও সে স্থান কোথায়?
তবে শুনো হে বিশ্বমানব
সেই ভূ-খন্ডটাই আমার প্রাণের প্যালেস্টাইন।
তুমি কি জানো, সেখানকার মাটি কেমন?
তবে শুনো হে বিশ্বমানব
সে মাটি বিদীর্ণ মাটি, অজস্র কান্নাভরা!
তুমি কি জানো সেখানকার শিশুদের কন্ঠ কেমন?
তবে শুনো হে বিশ্বমানব
শোকের প্রান্তরের ঐ শিশুগুলোর শিশির ভেজাকন্ঠ ,
ঐপিষাচ ইহুদী বাহিনী তাহা দিয়েছে ধমিয়ে কারণ ওরা তো ইহুদী জন্মঠিকানাহীন!
সেখানকার মানুষের হৃদয় আজ আহত!
আহত হৃদয়ের প্রতিটি স্তবকে স্তবকে বুনছে যে তাহারা স্বাধীনতার সূর্য।
তারা স্বাধীনতার জন্য নিয়েছে যে সংগ্রামের শপথ!
কারণ ইহা যে কোন সাধারণ ভূমি নয়!!
যে মাটির পরশে পরশে রবের পয়গম্বরদের ছোয়া লেগে যে হয়েছে সেথা ধণ্য।
এ মাটিকে ইহুদিদের দেয়া যায়??
না না না!! কিছুতেই না
না।।
তাই তো ধবংসের ধূসর দিনেও করে যাচ্ছে মোর ফিলিস্তিনিরা শান্তির প্রার্থনা।
নিশ্চয়ই বিজয় আসবে, দেখো নিশ্চয়ই আসবে।
যে জাতি জীবনের জ্বলন্ত অঙ্গারের মধ্যেও বিপ্লবের শিখা জালাতে পারে
সে জাতিই ফিলিস্তিনি,
সে জাতিই বিপ্লবী
সে জাতিই মুসলমান।
এ ফিলিস্তিনের মানবের উপর কত যে বয়ে গেছে অশ্রুর নদী,
কত শিকার যে হয়েছে বঞ্চনার বেদনা।
কিন্তু, তবুও ওরা দেখে অন্ধকারের ফাঁড়ি!
জীর্ণ স্বপ্নের খোঁজে যে ছুটে চলছে এ জাতি।
কখনো কখনো মুসলিম-ইহুদ যুদ্ধে নাড়া দেয় বিক্ষিপ্ত আত্মা,
সৃষ্টি হয় শূন্যতার প্রতিধবনি।
স্বপ্ন দেখি স্বাধীনতার
প্রাণের ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার।
বিজয় হবে, স্বাধীনতা হবে
আমার ফিলিস্তিন স্বাধীন হবে।
কারণ বিশ্ব জাহানের স্রষ্টা যিনি,
তাহার যে রয়েছে শপথ!
রব তো বলেই রেখেছেন,
ওহে কাফের, ওহে মুসলিমের শত্রু
তুমি মনে করেছিলে তুমার দুর্গে তুমি রক্ষিত , কিন্তু না না!
তিনি যেদিক দিয়ে তোদের ধরবেন, ধবংস করবেন এ যে তোদের কল্পনাতীত!!
সবিশেষে আবেগঘেরা অন্তর থেকে বলে যাই
মোর প্রাণের বানী-
ইহুদী ইজরাইলের ধবংস হোক,
প্রাণের ফিলিস্তিন স্বাধীন হোক।