সেদিন দেখেছি পথে,
ক্লান্ত শরীরে সন্তান বুকে বসেছে মা ফুটপাতে!
তার খোকা ভাত খাবে,
অর্থ চায় না,ভিক্ষা চায় না, দুমুঠো অন্ন নিবে।
ব্যস্ত সাহেব রাগলেন শুনে, যাও না আপদ দূরে,
আছি চিন্তাতে,অযথা সময় দিলে তো নষ্ট করে;
সারাদিন কতো মা,শিশু,যুবক,ফুটপাতে হাঁটা দায়,
দেখি কতো রং সব যতো ঢং বৃথা নষ্ট সময়।
মা কান্না চোখে সন্তান বুকে, দু'হাতে জাপটে ধরে,
এমনি করে কি অনাহারে শিশু, মায়ের বুকে তে মরে?
বুকের গভীর কষ্ট-হাজার কখন যে নেমে এলো,
ফুটপাত দিয়ে ভোর থেকে রাতে কতোই সাহেব গেলো?
রাগে ফুলে উঠি, চিৎকার করি, প্রতিবাদ করি তার,
চুপ কেন ব্যথা?কে বলবে কথা,কেউ বাঁচাবে ওদের?
ধিক্কার বাবু দের;
ঘুমন্ত কবিদের।
দেখেছি আমি তো, কতো শিক্ষিত দোকা'নে শিক্ষা দেয়,
সারাদিন-রাতে ফুটপাত তাকে জরিয়ে দীক্ষা দেয়।
দেখি আমি তার, কতো যে বেকার স্বপ্নের রাস্তায়,
ঘুম হবে নাতো,দুঃস্বপ্ন সে-তো ফুটপাতে পিষে যায়,
দেখছি রত্ন মায়ের স্বপ্ন জঞ্জালে পরে রয়,
ময়লার সাথে নিষিদ্ধ কাজে কাঁদে শুধু বেদনায়।
দেখছি আমি তো শিশু ফুল শত অনাহারে ফুটপাতে,
ক্ষুধার কষ্ট পেয়েছ কখনো? মাটিতে ঘুমাও রাতে?
না খেয়ে রয়েছ আজ?
নাকি রাতে রাজ ভোজ?
আমি তো দেখেছি কতো যে জননী ফুটপাতে কাতরায়,
কতো যে আগত ক্ষুধার কষ্টে গর্ভে তে মারা যায়।
আমি তো দেখেছি কতো না কিশোরী রাস্তার ঠিকানায়,
কতো না পুষ্প আঁধারের রাতে, দরজায় আলো দেয়।
তখন রাতের আলো;
তোমার লাগলো ভালো ?
হায় ফুটপাত!তোমার বুকে'তে কোন পুষ্প ঘুমায়?
দিন হলে পরে,বাবু সাব তারে, ঠেলে,পা মাড়িয়ে যায়!