কি এই সময়?
প্রতিনিয়ত চলমান এই বিষয়টা আসলে কি?
যখন চলমান ছিলনা তখন কোথায় ছিল?
কোথাও তো ছিল!  
চলে যখন গেছে তো এখন কোথায়?
কোথাওতো থাকবে!
কোত্থেকে এসে কোথায় গেল?
এটা কখন থেকে কখন পর্যন্ত চলছিল?
কি এই সময়?

এই ঘটনাবলীঃ
দুর্ঘটনা, বিবাদ,
প্রতিটা দুঃখ, আর প্রতিটা সুখ,
প্রতিটা যন্ত্রণা, প্রতিটা আনন্দ,
প্রতিটা হাসি, প্রতিটা অশ্রু,
প্রতিটা গান, প্রতিটা সুভাষ,
সেটা আঘাতের ব্যাথা হোক কিংবা স্পর্শের যাদু,
নিজের আওয়াজ হোক কিংবা প্রকৃতির শব্দ।  
এটা কি অন্তরের সৃষ্ট নাকি ধ্বংসপ্রাপ্ত পরিবেশের?
এটা কি উদ্বিগ্নতার ভূমিকম্প নাকি অন্তরের অশান্তি?

সমস্থ অনুভূতি, সমস্থ আবেগ,
মনে হয়, এর সমস্তই জলে ভেসে চলা কিছু পত্র!
কিন্তু –
ভেসে যখন চলে,
এখন এখানে, এখন ওখানে, আর এখন চিরতরে বিলীন।
দেখা যায় না,
কিন্তু কিছু একটাতো হবে যেটা ভেসে চলছে?
এটা কিধরনের নদী?
কোন পর্বত থেকে আসছে আর
কোন সমুদ্রে গিয়ে পরছে?
কি এই সময়?

মাঝে মাঝে আমি ভাবি –
চলন্ত গারী থেকে বৃক্ষরাজি দেখলে,
এমন মনে হয়,
যেন গাছগুলো পেছনের দিকে চলে যাচ্ছে।
কিন্তু বাস্তবিক পক্ষে
গাছগুলো নিজের অবস্থানেই দাঁড়িয়ে আছে।

তবে কি এটা সম্ভব যে
সমস্থ সহস্রাব্দ সারিবদ্ধ হয়ে
নিজের জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে?
সময় স্থির,
শুধু আমরাই চলে যাচ্ছি?
এই একমুহুর্তে সমস্থ মুহুর্ত,
সমস্থ সহস্রাব্দ লুকিয়ে আছে।
কোনো ভবিষ্যৎ নেই,
কোনো অতীত নেই,
যা হয়ে গেছে,
যা হচ্ছে,
যা হওয়ার কথা,
সব এখনি হচ্ছে।

আমি ভাবি
এটা কি সম্ভব যে
প্রকৃতপক্ষে,
আমরাই সফরে আছি,
আমরাই চলে যাচ্ছি,
আর আমরা যেটাকে
চলে যাচ্ছে বলে জানি
সেটা থেমে আছে।
চলে যাচ্ছে নাকি থেমে আছে?
এক নাকি বিচ্ছিন্ন?
জমে আছে নাকি গলে গেছে?
কেইবা জ্ঞাত?
কেইবা জানে এই সময় কি?