নারীরা নয়তো পিছু হটে,
নারীর স্থান সমাজের উঁচু স্তরে।
আধুনিক ভারতে নারীরা রাষ্ট্রপতি,প্রধানমন্ত্রী,
লোকসভার অধ্যক্ষ,বিরোধী দলনেতা।
আজও মনে পড়ে নারীদের সেই পুরনো ইতিহাস,
এতো সহজেই ভুলতে পারো বেহুলা,সীতা,সাবিত্রী'র
কথা,
ভালোবাসার ছলে মিথ্যা অপবাদ দেওয়া।
পুরুষের চেয়েও ঢের বেশি শক্তি ধরে ওই বেহুলা,সীতা,
সাবিত্রী'র মতো নারী'রা।
যে রামচন্দ্রের সংশয় জন্মেছিল সীতা হরণে,
তারই জন্ম হয়েছিল কোন না কোন নারীর গর্ভে।
নারীর শক্তিতে পর পর হেরেছিল চাঁদ,ইন্দ্র,দেবাদিদেব।
নারী মুক্তি আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে,
এক ঝাঁক মুখোশধারী নারীবাদীর দল।
দিনে তারাই মহান,নিশিতে শয়তান।
তারাই জন্ম দিল এক নারীকে---
পতিতা,বেশ্যা,বারাঙ্গনা ভিন্ন নামে;
যাদের বাস নিষিদ্ধ পল্লীর অন্তরালে।
যে নারীর গর্ভে ওই বীর সন্তান জন্মে,
তারাই হয়েছে বেশ্যা,পতিতা। দায় কাদের,
বীর সন্তানেরা?
তোমা' বাহুতে এত শক্তি বল'ত এসব কার দান!
তোমা' দেহ কার রক্তে চলমান?
সব ভুলে গেছো তোমা' শক্তির কাছে,
সৃষ্টিকর্তা ঈশ্বর জানে; তোমার ঐ দেহখানির মানে।
তোমারে সেবায় যারা হল বেশ্যা,পতিতা,বারাঙ্গনা,
তোমার যৌন লালসায় যাদের বাস নিষিদ্ধ পল্লীতে,
তারাই মোদের স্ত্রী,কন্যা,ভগিনী,গর্ভধারিনী।
মুছে দাও মন থেকে নারী-পুরুষ এমন সব শব্দ,
খুলে ফেলো তোমার মুখোশের যত আবরণ।
পৃথিবিতে স্থান দাও 'নারী' বলে নয়,
অন্তত একটা 'মানুষ' ভেবে।