মাঝে মধ্যেই আমার উপর পরিবার রাগ দেখায়।
কখনো আমি তার জন্য করি দুঃখ বোধ।
কিন্তু কখনোই আমাকে ছেড়ে দেয়না এই পরিবার।
যতোই আমি খারাপ হই, না থাকুক আমার মূল্যবোধ।
কখনো আমাকে আঘাত করে এই পরিবার,
ক্রোধিত হয়ে করে সম্পর্ক ছিন্ন।
করে চিৎকার চেঁচামেচি, বলে কষ্টদায়ক শব্দ,
নিক্ষেপ করে দরজার বাইরে।
আর বলে – এটি এখন থেকে বন্ধ।
এরপর আমার আবেগ ভেতর থেকে ভেতরে হারায়।।
কেনো আমার সাথে এমন করলো - মনের কোণে ভাবনা জাগায়।
চিন্তায় ভাবনায়, ক্লান্ত হয়ে আবার ফিরে যাই পরিবারে।
হালকা নকের শব্দে সবাই ছুটে আসে আমার দিকে
গর্ভধারিনী মা, যিনি দেখামাত্রই বলেন-
কোথায় ছিলি এতোক্ষণ?
পাশ থেকে বাবা এসে বলেন-
কথা না বলে খেতে দাও এখন।
বড়ো ভাই, করেছিলো যে একটু আগেও কড়া বকাঝকা,
সুমধুর কণ্ঠে সেই বলে - কোথায় গিয়েছিলি ওরে বোকা!
ছোট বোন, যে আমার অতি আদরের।
হাতটি ধরে বলে – ভাইয়া, এবার ফ্রেশ হয়ে নে।
লজ্জাবোধ নিয়ে যখন সবার দিকে তাকাই,
হাসি মিশ্রিত মায়া মমত্ববোধ দেখে অতীত ভুলে যাই।
চুপচাপ নিচের দিকে তাকিয়ে তখন ভাবি-
পরিবার, এটাই আমার সকল সুখের চাবি।
কারণ এটাই আমার রক্ত, এটাই আমার বন্ধন,
হৃদয়ের সবকিছু সন্নিবদ্ধ এখানেই।
টেনে নেয় আমাকে প্রতিটি মুহুর্তেই
তাইতো সকল আনন্দানুভুতি আমার, পরিবারকে ঘিরেই।