জানালায় ঝুলে থাকা পর্দাটি কেবলই দুলছে
বহমান বাতাসের ঘূর্ণন প্রভাবে,
বাতাসের এই আবির্ভাব তুফানকে স্মরণ করিয়ে দেয়।
হঠাৎ এমন আচরণে বিস্মিত হতে হয়।
কারন, মিনিট কয়েকের মাঝেই প্রকৃতির এই পরিবর্তন।
বিস্মিত নয়নে ঘরের বাহিরে দৃষ্টি পড়লো।
একটি চড়ুই পাখি, লড়াই করছে বাতাসের প্রতিকূলে।
পাখিটি উত্তরে যেতে চাচ্ছে,
কিন্তু বাতাস তাকে উলটো দিকে ধাবিত করছে।
বাতাস শুধুই ঘুরপাক খাচ্ছে,
পাখিটি সেই ঘূর্ণনের মধ্যবিন্দুতে পরিণত হলো।
নিজেকে টিকিয়ে রাখার প্রাণপণ চেষ্টা তার থেমে নেই ।
সফল চেষ্টায় এক পর্যায়ে জানালার পাশেই বিশ্রাম নিলো ।
না, নিজেকে আর ধরে রাখতে পারেনি, আহত পক্ষীটি।
গ্রিলের ফাঁক দিয়ে সরাসরি মেঝেতে পড়লো ।
প্রথম থেকেই দৃশ্যটি আমারই সামনে ঘটলো ।
বাতাসের এই অনাকাঙ্ক্ষিত ধাক্কা,
পাখিটির পড়ে যাওয়া আমার দৃষ্টি গোচর হলো ।
আধমরা অবস্থায় পাখিটি এখন উড়ার অযোগ্য,
কী যে করি, কী করি, এমনই ভাবনা আমার।
হাতে নিলাম, ডানা থেকে ধুলো বালি দূর করলাম,
স্নেহের হাতে, যাকে পাখির যত্ন নেয়া বলাই যায় ।
কিছুক্ষণ পর সতেজ হয়ে উঠলো চড়ুইটি ।
পাখির চোখে চোখ পড়লো আমার,
তার ভাষা বুঝার সাধ্য আমার নেই।
কিন্তু চোখের চাহনি বুঝতে অসুবিধে হয়নি,
সেখানে কৃতজ্ঞতার বহিঃপ্রকাশ স্পষ্ট ।
ধীরে ধীরে পাখিটি উড়ার সক্ষম হলো ।
পাখিটিকে উড়িয়ে যেতে আমিও সহায়তা করলাম,
নতুন প্রাণ পেয়ে সে তার আপন নীড়ে ফিরে যাচ্ছে।
মুগ্ধ হয়ে সেই দৃশ্যই দেখছি,
হথাৎ ঠাণ্ডা বাতাসের ছোঁয়াও পেলাম,
কারণ বাতাসের ঘূর্ণন তখনো থামেনি যে ।