একটি পাখি, সবে ডানা মেলতে শিখছে
বারবার হোঁচট খাচ্ছে, উড়ার সময় ।
পাশে থাকা অন্য পঙ্খিগুলো তা দেখছে ।
এগিয়ে কী আসবে, একটু সহযোগিতা করতে, এমনটিই তাদের ভাবনা
তবে, তারা চাইছে, পাখিটি নিজেই নিজের পায়ে দাঁড়াক ।
এতক্ষণে সদ্য উড়তে শিখা পাখিটি ঘুরে দাঁড়িয়েছে ।
উপরের দিকে তার চক্ষুদ্বয় নিশান খুঁজছে ।
নিজেকে ছাড়িয়ে যাবে বলে ।
একসাথে এইবার অন্য পাখিগুলো তাকে অভিবাদন জানালো ।
আর মিটমিট হাসছে, নিজেদের লোকবল বাড়লো, এমনটা ভেবে ।
পক্ষান্তরে, ডালে বসে ডানা মেলে তালি দিয়ে তাল মেলাতে সবাই ওস্তাদ,
এইরকম করে ভাবছে উড়া পাখিটি,
আবার কেউ এগিয়ে এসে হাতও বাডায়নি, রাগ হলো তাই,
নিজের পরিবার এর উপর ।
আর না ফেরারও সিদ্ধান্ত নেয়া হলো নিজ নীড়ে ।
আশেপাশে মেঘের আবেশ, চারিদিক শুধুই শূন্য
এখানে আর কারোর চেহারা দেখতে হবে না, যারা সাহায্য করেনি
আবার শূন্যের বুকে কী আছে, তাও দেখা যাবে, হারাতে ইচ্ছে হলো তাই
যেই ভাবা সেই কাজ,
মেঘের উপর উড়াল পাখিটির ।
হাওয়ার তালে ভেসে ভেসে, একসময় ক্লান্তি ।
ডানাগুলো নিজ থেকেই নিস্তেজ হয়ে আসছে ।
নিচের আকর্ষণ শক্তি পাখিটিকে টানছে,
এসে সেখানেই থামলো, যেখানে আর ফিরবেনা ভেবেছিলো ।
চোখ মেলতেই সব পরিচিত মুখ দেখা যাচ্ছে ।
ডানাগুলো মেলতে চাইলো পাখিটি,
ব্যাথায় মুখ থেকে আনমনে উহ শব্দের প্রকাশ পেলো।
সাথে সাথেই, সেবার পরিমাণ কয়েক গুন বেড়ে গেলো ।
এইবার চোখের কোণে কিঞ্চিত জলের আবির্ভাব ঘটলো, কৃতজ্ঞতায় ।
নিজের ভুল বুঝতে পেরে নিজ ডানা দিয়েই চোখ বুজলো ।