দুঃখ, কষ্ট, ভোগান্তি আজ চরম পর্যায়ে
ধুঁকছে মানুষ, মরছে মানুষ, যুদ্ধের অশুভ কল্যাণে।
কান্না আর কান্না, কান্নার শেষ কোথায় ?
কেনই বা এত রক্ত ঝরা ?
বোমা গুলি গ্রেনেড , ব্যবহার যার অনায়াস
কবে হবে এই সবের সারা ?
নিরীহ নিরস্র লোকজন, ভীত সন্ত্রস্ত পরাধীন
পলাতক কেউ, কেউ দৌড়ের উপর
কেউ হামাগুড়ির উপর নির্ভর
ধীরে চলার ফলাফল, মৃত্যু সন্নিকটে তার বরাবর ।
এখানে সংঘর্ষ, ওখানে বিদ্রোহ, প্রতিনিয়ত চলছে যুদ্ধ।
কিছু বদমেজাজির খুশির জন্য, পুরো পৃথিবী কেন বদ্ধ ?
কী ঘটছে এইদিক সেইদিক, এগুলোর শুরুই বা হলো কেনো ?
যারা ঘাতকের ভুমিকায়, হৃদয় কি আছে তাদের কোন ?
শিশুদের চিৎকার, নারীদের হাহাকার, মজলুমের আহাজারি
কে ভাবছে তাদের কথা ?
লাশের পর লাশ, উপায় নেয় নেয়ার নিঃশ্বাস
হারালো কোথায় মানবতা ?
গুলি আঘাত হানে তাঁদের বুকে,
নেই তাতে দিবা রাত্রির তফাৎ।
খুনি ঘাতক করেই চলেছে,
মানবতার উপর আঘাতের পর আঘাত।
শিশুরা কাদছে, পিতা মাতার জন্য- হয়ে সর্বহারা
কোথাও কি কেউ আছে, যে দেখবে তাঁদের বাঁচা-মরা ।
এগিয়ে কি কেউ আসবে, করতে একটু সাহায্য
বাঁচাবে কী তাঁদের, ভেঙে সব অন্যায় ধৈর্য ?
চোখ খোলার কী সময় হয়নি, বাড়িয়ে দিতে হাত ?
দেখছি, অনুধাবন করছি, তবু কেন চুপচাপ ?
তাঁদের প্রয়োজন আমাদের সমর্থন
প্রয়োজন আমাদের বাড়ানো হাত
মুক্তি মিলবে তবেই, যদি
এক হয়ে সবাই করি প্রতিবাদ।
পালঙ্ক ত্যাগ করে জাগো এখনই
অবনমিত না হয়ে, পরো মুক্তির পোশাক
একমত হয়ে সকলে তুলি শ্লোগান
মানবতার খুনিরা সর্বদা নিপাত যাক ।