অন্তহীন নীল আকাশের নিচে, সমুদ্রের পাশে দাঁড়িয়ে
জোয়ার ভাটার খেলাকে নতুন করে চিনতে গিয়ে,
সাগরের ঢেউ গুনে গুনে, অলস সময় পার করিয়ে
মহান রবের সৃষ্টির সৌন্দর্য দেখে, গেলাম হারিয়ে।
খুঁটিহীন নীল আসমানের নিচে, পাহাড়ের চূড়ায় দাঁড়িয়ে,
ঝর্নার বিরামহীন ছুটে চলা, নতুন করে উপলব্ধি করতে গিয়ে,
দুনিয়ার খুঁটিস্বরূপ, সুবিশাল পর্বতগুলোকে পাড়ি দিতে গিয়ে,
মহান রহমানের সৃষ্টির আশ্চর্য কৌশল দেখে, গেলাম হারিয়ে।
নদীগুলো বয়ে যায়, মাঠ, শহর, গ্রামের প্রান্ত দিয়ে।
মেঘগুলো জমাট বাধে, ওপরে, নির্দিষ্ট একটি সমীকরণ নিয়ে।
চিরচেনা বৃষ্টির বর্ষণ, অপূর্বরূপে জমিনকে দেয় ভিজিয়ে।
মহান সৃষ্টিকর্তার সৃজনের পর্যায় দেখে, গেলাম হারিয়ে।
সূর্যের আভায় এতো ঝাঁঝ, চাঁদের কেনো মৃদু; জানতে গিয়ে,
চন্দ্রের কেনো নেই নিজ আলো, চলে রবির প্রতিফলিত কিরণ দিয়ে?
নভোমণ্ডলেরই বা কী কাজ? রয়েছে একে অপরকে জড়িয়ে,
মহান মালিকের অদৃশ্য হুকুমাত জানতে চেয়ে, গেলাম হারিয়ে।
যার সৃষ্টি এতো সৃজনশীল, পরিপূর্ণ কৌশল দিয়ে,
কল্পনা শক্তি বেশি দূর এগোয় না, অর্থ খুঁজতে গিয়ে।
সৃজন সকল তাঁর মানুষের কল্যাণেই, দেয় সকলকে ছুঁয়ে,
তিনিই মহান আল্লাহ্, মহাবিশ্বের মালিক; তাঁর প্রেমে গেলাম হারিয়ে।