যখন নেত্রজল গড়িয়ে পড়ে রাগান্বিত ভাব নিয়ে,
বিমর্ষতাকে সঙ্গী করে, আমার মুখমণ্ডলের উপর দিয়ে,
কখনো সেটি স্পর্শ করে সামনে রাখা কোন প্রশস্ত ডায়েরিকে।
আবার কখনো পুরো ভিজিয়ে দেয় গর্দানের নিচে থাকা বালিশকে।

কোন শব্দ ছাড়াই যেটি এখন আমার নিত্যদিনের সঙ্গী,
এই সঙ্গীর ভয়ানক রূপ কোন মানুষের কাছেই দৃশ্যমান নয়।
প্রেক্ষাপট অনেকটা এই রকম যে, আমার নীরবতার অন্তরালেই তুমি।
আর তুমিহীনা এই হৃদয় এখন তিলে তিলে বিস্তর লয়।

মাঝে মাঝে আনমনে তোমার নাম স্বরণ করি, তোমাকে ডাকি।
যদিও জানি, এই আওয়াজ তুমি পর্যন্ত পৌঁছাবে না।
আমার গোপন চিৎকার তোমাকে স্পর্শ করবে না, তাতে কী?
আমিতো আছি, নীরব কান্নার মধ্যে, যা তুমি কখনোই বুঝবে না।


আমি দুঃখিত।
হ্যাঁ, আমি দুঃখিত এই জন্যই যে, এই পথে প্রতিপাদিত হয়েছি বলে।
অন্যকিছুর জন্য নয়, শুধুমাত্র তোমার জীবনে প্রবেশ করেছি বলে।

আমি আর কী করবো নীরব চিৎকার ছাড়া!
নীরবতার এই শব্দগুলিই আমাকে করে এখন মাতোয়ারা।

তোমাকে মিস করার যন্ত্রণা, স্মৃতির বেড়াজালে তোমার উপস্থিতি,
আমাকে আঁকড়ে ধরে রাখছে, বদলাতে দিচ্ছে না বর্তমান পরিস্থিতি।

তুমি চলে গিয়েছো তোমার ভালোর জন্যই,
এটা তো আমার বুঝার নেই বাকী!
মনে কি পড়ে তোমার, বলেছিলে এই কাজটি করবে না কখনো,
জীবনে সাইমুম ঝড় আসলেও এমনকি!

চলে গিয়েছো তুমি, আমি হলার সম্পূর্ণ এলোমেলো,
বিষণ্ণ, বিভ্রান্ত, বিহ্বলে আজ আমি উৎকণ্ঠিত।
বুঝবে না তুমি মুখোশের আড়ালে নীরব ক্রন্দনে বেঁচে থাকায়
কতোটা কষ্ট, বেদনা আর মানসিক যন্ত্রণা জড়িত।

আমার এই নীরব চিৎকারের নেই কোন স্বাক্ষী,
কোন বন্ধুবান্ধব বা আত্মীয় স্বজন কেউ নেই।
কাউকে এখন আমি সঙ্গী বানাতে পারছিনা এই পথে,
কারণ আমার বেঁচে থাকার বর্তমান স্বার্থকতা নীরব চিৎকারেই।