তুমি বেরিয়ে আসলে,
সূর্যাস্তের ওই দুর্বল মুহুরতে।
আলোগুলো হারিয়ে যায় আধারের ওই কৃষ্ণবর্ণে,
জ্যোতিগুলো অভিভূত হয়ে ওই অন্ধকারকেই বেছে নেয়।
কারণ সেই কিরণ তোমার তুলনায় অতি নগণ্য,
সেক্ষেত্রে তোমার আভার উপমা শুধু তোমারই জন্য।
পরিশেষে উদ্ভাস যখন পুরোপুরি তিমিরে আচ্ছন্ন,
তোমার নিষ্ঠুর, বিশুদ্ধ ঘন কালো কেশদান,
ধীরে ধীরে ভাসিয়ে চলে সেই সময়ের মৃদু বাতাসে,
আর মধ্যখান থেকে টানাটানা নয়না দুটো ঝলঝল করে,
সৌন্দর্য দীপ্ত ছড়িয়ে যায় পুরো জায়গা জুড়ে,
সেই মুহুর্তে তোমারই জুত আমার দিকেই ধেয়ে আসে।
যার ফলে আলোকিত হয় আমার অভ্যন্তর।
রঙ্গিন আভায় ভরে ওঠে আমার সর্বত্র।
স্থির পথ পায় এই পথহারা পথিক,
ভরসার গান গেয়ে ওঠে আমার চারিদিক।
আভার প্রখরতা শুধুই বাড়তে থাকে,
যখন তুমি অলস গতিতে হেঁটে বেড়াও ওই প্রান্ত।
মুহুর্তেই তোমার জ্যোতি আমাকে সাজিয়ে রাখে,
আর এই হৃদয়ের প্রতিটি স্পন্দন হয়ে ওঠে প্রাণবন্ত।
তুমি বেরিয়ে আসলে, আর হাঁটলে
অল্প একটু ক্ষণের জন্য,
আর ঢেকে গেলো আমার সকল কষ্টের চিহ্ন।
যদি একবার প্রবেশ করো এই জীবনে,
জীবনের সর্বময় আলোকিত থাকবে,
এমনকি কখনো হবে না তা নিশ্চিহ্ন।