শহরের ব্যস্ততার শেষে, নিশ্চিন্ত মনে ঘুমাচ্ছে সে।
আমি ৫ম তলার কক্ষগুলোর সঙ্গে আড়ি দিয়ে বারান্দায় দাঁড়িয়ে সুখ খুঁজে ফিরছি।
জানালার গ্রিলটায় হাত দিয়ে তার সামর্থ্যের প্রতীক যাচাই করছি। মাঝে মাঝে দু হাত সুপ্রসারিত করে উপরের চাঁদের দিকে তাকিয়ে ঘূর্ণন পর্যবেক্ষণ করছি।
চোখ বন্ধ করে আলো আঁধারি খেলায় মাততে চাচ্ছি।
কিন্তু আমার একাকীত্বের সাগর নামক অসুখ সেই খেলায় অনুমতি দিচ্ছেনা।
তাড়িয়ে দিয়ে বলছে, সকালেই তোর অফিস আছে, তুই এখন ঘুমো। রাত তো প্রায় শেষ হয়ে এলো!
আমি মনে মনে দীর্ঘ দীর্ঘশ্বাঃস ফেলে বলছি, ও অসুখ তুইও আমাকে বুঝলিনা, আমাকে তুইও তাড়িয়ে দিচ্ছিস?
সুখ তো সেই কবেই ছুটি দিলো, এবার তুইও?
আমি তাহলে কই আশ্রয় নেব?
একাকীত্ব তুই আমার সঙ্গী, তুই অসুর অসুখ হলেও তোর মাঝে সুখ খুঁজে পাই।
যদি তাড়িয়েই দিস, তবে সৃষ্টিকর্তার কাছে মুক্তি চাওয়া ছাড়া উপায় নেই।
অসুখটা বারবার ভেতর থেকে ডেকে বলছে, তাহলে তাই কর, তোর সৃষ্টিকর্তার নিকট মুক্তি চা।
আমি তাই ভাষা তীব্র করে হাত উচিয়ে বলছি-
ওহে সৃষ্টিকর্তা, আমার এবং একাকীত্বের মালিক!
আমাকে কী একাকীত্ব থেকে মুক্তি দিবে?
অসুখ শেষে একটু সুখ!
তুমিই তো তোমার পাঠানো শেষ গ্রন্থে বলেছ,
নিশ্চয়ই দুঃখের পর সুখ রয়েছে।
আমি যে সেই সুখের অপেক্ষা করতে করতে ক্লান্ত হয়ে আছি।
আমাকে নিশ্চিন্ত মনে ঘুমের সুযোগ দাও।
এবার তো অন্তত মুক্তি দাও, মুক্তি দাও!
আমি যে তোমার নিকট মুক্তি চাই।
চিরন্তন মুক্তি।