অস্তাচলে চলে যাওয়া সূর্যের আলোর মতো
ধীরে ধীরে ক্ষীণ হয়ে একেবারে হারিয়ে গেল
ভালোবাসার আলোকে ভরা দীপাবলি।
অন্ধকার নামার আগেই হারিয়ে গেল শান্তি যাপনের সম্ভাবনা।
স্বপ্ন বানানোর শ্রমিকরা তারাও বোধ হয় ধুঁকছে অশুদ্ধ সুখের ঘোরে।
আজ হতচ্ছাড়া,সর্বখায়ী খেয়েছে সহমর্মিতার নরম শিকড়,
টেনে নিয়েছে মাটি,থুকে ফেলেছে শান্তির বীজ।
শুচিতার মুগ্ধতা ছড়ানো রাজ্যে আজ খুব মানুষের অভাব,
সবাই ডবল রোডের সংজ্ঞা দেখায়
চারিদিকে কুকুর,বেড়াল,কাঠবেড়ালী,গিরগিটি
এমনকি ছুঁচোরাও বেশ গুজে সমাজ নামক
গাড়ির স্টিয়ারিং সামলায়,
সঙ্গে মানুষের সংজ্ঞা দিয়ে।
তবে মানুষ আছে ঠিকই তবে পিছনের সিটে,
বিনা সিট বেল্টে,অসহায়, অসঙ্গতি, ভালোবাসার অভাবে।
নষ্ট সূর্যের খরতাপে পুড়ে যাওয়া
একাধিকবার ছাল ছিঁড়ে যাওয়া শিকড়কে আঁকড়ে ধরে।
তারা আজ কিছুটা রোবট, অচেতন, মনিহীন কিংবা বিষ হীন সর্পের মতো,
ফোঁসতে জানে না,
জানে না কথা
জানে না বার্তা।
শুধু এগুলিই এই সময়ের সম্পুর্নতা বজায় রাখেনি,
ইদানিং রাখেনি
গতকাল রাখেনি
আজ রাখেনি,
বছরের পর বছর, শতকের পর শতক রাখেনি।
আর সময় হাত বাড়িয়েছে সেই মান হুঁশ হীনতার খুন লাগা হাতের দিকে,
সময় আজ নষ্টদের অধিকার।
কিছুটা আমাকেও অধিকার করেছে
কিছুটা আমাকেও আগলেছে,
তার নিঃস্ব, রিক্ত লাঞ্ছিত শান্তির মানব চেতনা হীনের আলিঙ্গনে।
তবুও শান্তি, মানুষ, চেতনা খুঁজে পাই নষ্টদের হলঘরে,
হাতড়ে হাতড়ে শিশির গাছপালা,ফুল আর জোছনার মাঝে একটুকু
শান্তি খোঁজার চেষ্টা করি, সব ছেড়ে গেছে তবুও;
আমি যে আজ সর্বহারা,
হারিয়েছি প্রকৃতি,
হারিয়েছি প্রেম।
প্রকৃতি, প্রেম হারিয়ে যে জন বেঁচে থাকে তার
কীসের সুখ,কেমন শান্তি বোঝা সুকঠিন।
তবুও জীর্ণ শীর্ন এই মননে যতবার নতুনের ছোঁয়া পায়
তখনই কিছুটা সেরে নেবার দুঃসাহস জন্ম নেয় হৃদয়ের অভ্যন্তরে।
তবে সূর্য তো অস্তাচলে-
আর ইচ্ছে হয় না,
বিশ্বাস হয় না সেই রোদকে।
তবুও একটা ক্ষীণ আশা জাগে নতুন আলোর কিরনে
সব নষ্ট, নোংরামি ঝলসে দেবার।
প্রাকৃতিক সময় পুঞ্জী যখন বলছে নতুন করে শুরু করার কথা,
তখন সাড়া দিতেই হবে যেহেতু আমরা মানুষ।
(২৪/১২/২০১৬)