ক্ষয়ীষ্নু সমাজের দিকভ্রান্ত চিহ্নের লেপন
কত কোলাহল,
নীরব গৈরিক শাসনের মতো উচ্ছেদিত সেই নারী।
আজ পরিবর্তনের সিঁড়ি বেয়ে
উঠে গিয়েও যেন চক্ষু চড়ক গাছ।
নারীর কোলে আলো করে এসেছিল সেই নির্বাক শিশু,
অর্ধাহার, অনাহার, প্রসবের তীব্র যন্ত্রণায়
বুকে পাথর বেঁধে মাটিকে স্পর্শ করিয়েছিল সেই দুর্ভাগ্য জননী।
আজ অন্ধকারাচ্ছন্ন উপ মহাদেশে সে যে বড়োই একা।
স্তনের বোঁটা কামড়িয়ে নিগড়ে ফেলেও
  পরিশ্রান্ত শিশু দু ফোঁটা স্তন্যপান করতে ব্যার্থ।
স্তনের আকারে পরিনত হয়েছে
       ভদ্দর লোকের সেই ধুতির ভাঁজের মতো।
একরাশ পবিত্রতা সম্পন্ন হৃদয় জড়িয়ে নিয়েছে
ভদ্রের করণীয় অপবিত্র সেই মাতৃ কোলের স্বর্গ সুখকে।
প্রমাণ শতশত, আগে এবং পরে
উদ্দাম যৌবনের ছোঁয়া কদিন আগে।
তবুও সে আমার মা
        আমার জননী
   আমার বাংলা মা
             আমার মা।
(28/11/16)