সমাজটা বড়ো নিষ্ঠুর স্বভাবের
হয়তো তা মানবতার অভাবে।
উদাহরণ আছে সহস্র ভাবে
হাসি বড়ো পায় কিছু কাজ দেখে।
কবে যে মুক্ত হবে
যাবে অবক্ষয়।
কদিন আগে একজন গাধা নিয়ে যায় রাস্তার উপর দিয়ে,
সমাজ বললো কী বোকা
গাধাকে গাধার কাজ না করিয়ে দিব্যি রাস্তা হাঁটায়।
আরেকদিন আরেক জন গাধার পিঠে চড়ে
যাচ্ছিল ওই নায়েব পাড়ার দিকে,
সমাজ বললো
ওরে পাপী!
তোর যে মায়া নেই সিকে।
অবলা ওই প্রানীর ওপর এহেন অত্যাচার
মূর্খ বলেই করিস এসব অমানবিক ব্যবহার।
তারপর একজন তার স্ত্রীকে চড়িয়ে গাধার পিঠে
যায় ওই বাজারের দিকে,
সমাজ হাঁকায়
সর্বনাশ! সর্বনাশ
তুই যে দেখছি বৌয়ের দাস,
মনে হয় তুই বৌকে পুজিস সকাল থেকে রাত।
তার কিছু দিন পর আরেক জন হাঁটায় পথে
নিজে চড়ে গাধার পিঠে,
এবারও সমাজ দাঁত খিঁচে বলে
ওরে ও নিষ্ঠুর নিজেকে তুই নিষ্ঠুর প্রমাণ করিস
অগ্নিসাক্ষী বৌকে তুই এমন ভাবে মারিস।
পরদিন আরেক লোক ছেলেকে চড়িয়ে গাধার পিঠে
ভাব দেখায় মিঠে মিঠে।
অবক্ষয়িত সমাজ এবারও ডাক দেয়
বলে ওই যে বোকা!
মাথায় একটু বুদ্ধি ঢোকা।
এটা যে তোর বলিষ্ঠ আর লম্বা গাধা,
বৌ, বাচ্চা সঙ্গে চড়ে হবে যে গান সাধা।
মনে হচ্ছে তুইও এক আস্ত রকম গাধা।
এই হলো প্রকৃতির মাঝে সমাজের পরিহাস,
মন্দকে বলে আর ভালো কে বলে মন্দ,
এই নিয়ে যায় যে বেঁধে সামাজিকতার দন্দ্ব।
নিশ্চই এখন বুঝতে পারছো
সমাজ কতো অন্ধ।
14/10/2016
07:50AM