সহস্র শতাব্দী বঞ্চনার বারুদে পোড়া বুক নিয়ে,
পিঠের দেওয়ালে দগদগে নিষ্ঠুর নির্মম
কুঠারের কোপ নিয়ে ,
যন্ত্রণার যূপকাষ্ঠে আর্তনাদ করতে করতে
বলো, আর কতদিন লুকিয়ে রাখবে নিজেকে
ভীরুতার গর্তে ?
দেখবে- আপন সন্তানদের কচু কাটা দেহ !
দেখবে- প্রিয় জনদের চোখে প্রবাহমান নদী !
শুনবে- হাহাকারের হাঁক।
বলো আর কতদিন ?
জিভ কে এবার তলোয়ার করে নাও
হাতকে করে নাও হাতুড়ি ।
চোখের তারায় মেখে নাও আঙ্গার ।
বল্লমের মতো ছুঁড়ে দাও দৃষ্টি
শিরদাঁড়া টান টান করে দাঁড়াও
একটা জ্বলন্ত আগ্নেয়গিরি হয়ে ।
কণ্ঠ থেকে উদগিরণ করো তপ্ত লাভার স্লোগান!
জেনো- তুমি সাহসিকতার তিলক
কপালে টেনে একবার ঘুরে দাঁড়ালেই-
প্লাবন শুরু! প্রলয় শুরু । প্রতিবাদ শুরু ।
নৃশংসতার কাঁধ থেকে খুলে খুলে পড়ছে
অত্যাচারের ডানা। শোষণের ঠোঁট ।
হিংস্রতার হৃৎপিণ্ড । বন্ধ হয়ে আসছে স্বৈরতন্ত্রের শ্বাস।
গড়ে উঠছে একটা নতুন জীবন । সবুজ সভ্যতা ।